তোমার গায়ে অনেক জোর
ছুটে চলেছো সমুখ পানে
ছুটছো জোরে আরও জোর।
তোমার গলায় অনেক সুর
গাইছো জোরে অনেক গান!
ভাবছো কি তা, সুর না বেসুর?
আঁকছো তুমি অনেক ছবি
অনেক দৃশ্য, অনেক মুখোশ!
হয় কি আঁকা, সেই আসল ছবি?
আজ তোমার অনেক টাকা
অনেক'কে তুমি দিচ্ছো টেক্কা।
ঝলমলে সব রঙিন পোশাক
নিজের গায়ে দিচ্ছো ঢাকা।
এখন তুমি মরছো খুঁড়ে
মাণিক রতন হীরের খোঁজে।
আছো নিয়ে লোক লস্কর
বুঁদ হয়ে সব নেশায় মজে।
এখন তুমি ব্যস্ত অনেক
ছুটছো পিছে মরীচিকার!
কারুর ডাকে দাওনা সাড়া
সময় নেই পেছন পানে দেখার।
এখন তুমি অনেক বড়ো
ফিতে দিয়ে যায়না মাপা।
ইটের পরে ইট সাজিয়ে
নিজের বাড়ি দিচ্ছো চাপা।
ইমারত গাঁথো আকাশ ছোঁয়া
নেইতো কোনো মমতা মায়া!
হারিয়ে যায় ভূগোল, মানচিত্র
মুছে যায় অতীতের চালচিত্র!
যখন তুমি বড্ড একা
ভীষণ একা অন্ধকারে!
ভাবছো বসে ঘরের কোণে
অতীত কথা নিজের মনে।
ঘর গুলো কি দেখছো খুঁড়ে
স্মৃতির ফসিল সঞ্চিত থরে থরে
ভিটেমাটির সারা অন্তর জুড়ে...
নাড়ীর টান, ঐতিহ্য, পরম্পরা
পরতে পরতে গাঁথা বসুন্ধরা!
শুনতে কি পাও -
হারানো সেই সুর আজ,
জীবনের এই গোধূলি বেলা?
কী গান গেয়েছিলো -
গর্ভধারিণী জননী তোমার,
যখন ঘুচলো আঁধার
কোনো এক ভোরবেলা?