যে চাঁদ ঝুঁকেছিল উৎসবের আকাশগঙ্গায়
ঢেউয়ের কিনার ঘেঁষে পাড় ছুঁয়ে ছুঁয়ে,
সে চাঁদ-ও ডুবে যায় দিনের আলোয়
শিকারি রোদের মৃদু আস্ফালনে!
এত আয়োজন শেষে, নেশা ভেঙে গেলে
আবার উঠে যাবে মানুষ, তার নিত্য জীবনপ্রবাহে।
এভাবেই হেঁটে যাবে মানুষ পরম্পরায়
মানুষের ছায়ায়, ছায়াসিঁড়ি বেয়ে..
ভরাশ্রাবণের দূর গ্রামে আবার শুরু হবে
মঙ্গলগানে মনসার মেলা
অন্নপূর্ণার মন্দিরে খিদেপেটে পাত পেড়ে খাওয়া।
জীবন বাঁচিয়ে জীবনের কথা লেখে জীবন
হেঁটে যেতে যেতে, এমনই অমসৃন পথে..
অভাবের ভিতরে বিরুদ্ধতা, এক দুরূহতা খেলা করে!
তাই, এতকিছুর পরেও আবার ঝড় ওঠে
ভেঙে পড়ে সুপুরিগাছের সেইসব স্মৃতি,
ভেঙে পড়ে রান্নাঘরের পশ্চিমের দেয়াল
চাপা পড়ে যায় উনুন,
চাপা পড়ে যায় মায়ের শ্বাস-প্রশ্বাস!
সমূহ জীবন এই, এভাবেই..
তবুও, এসবের কাছে ঋণী থাকে
ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকা কিছু ক্ষয়িষ্ণু প্রাণ!
আশ্চর্য এক রহস্য নিয়ে ভেসে উঠবে
কবেকার জলরঙে আঁকা একটা মুখ
ভুলে যাব আবার,..
আমার যাবতীয় জাগতিক যেটুকু অসুখ!