পিঠেপুলি আর শৈশব,
কোথায় যেন হারিয়ে গেল সব
কী রোমাঞ্চকর সেই দিনগুলি
চেতনার এক আশ্চর্য অনুভব
স্মৃতির বালুচর খুঁড়ে তুলে আনা
তীক্ষ্ণ এক বোধ!


সময় পেরিয়ে যায়
অনেকটা পথ পেরিয়ে যেতে হয়
কতো হাড় কাঁপানো শীত
শৈশবে এসে চলে গেছে
শুধু একটু উষ্ণতা খুঁজেছি,
দু'হাতে জড়িয়ে মায়ের বুকের উত্তাপ
আজও আমার বুকে লেপ্টে আছে!


পৌষ-পার্বণ, গনগনে চুল্লি...
থালায় বাটিতে মায়ের হাতের
সুগন্ধি পায়েস পিঠেপুলি...
ভাইবোনের মারামারি কাড়াকাড়ি
হারিয়ে যায় সেই বর্ণময় দিনগুলি
আজ ঘুরে ফিরি দুঃস্বপ্নের কানাগলি
জীবনের এক বিস্মৃত অভিলাষ...
পেরিয়ে যায় মুঠো মুঠো ইতিহাস!


আজ আমি ব্যর্থ কারিগর,
হাতে আমার হাতুড়ি ছেনি বাটালি
নির্মাণ করতে পারিনা তবু,
মায়ের হাতের সেই আশ্চর্য পিঠেপুলি!


হাতে রয়েছে রং-তুলি ক্যানভাস
আর, কোরা কাগজ...
তবু মনে ভাসেনা কোন ছবি
আসেনা কোন কবিতার অবয়ব,
তুলি-কলমের গভীর থেকে
কেবল ছলকে ওঠে রং-কালি,
হৃদয়ের গভীর অন্তস্থল থেকে
... ককিয়ে কেঁদে ওঠে শৈশব!


15th January, 2020
২৯শে পৌষ, ১৪২৬
রবীন্দ্র আবাসন, টালিগঞ্জ, কোলকাতা।