(বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী স্মরণে)
🍁
এক অলৌকিক ঐশ্বর্য নিয়ে এক মহামানব আবির্ভূত হয়েছিলেন এই ধরাধামে আজকের এই পুণ্য দিনে। বৈশাখের এই রুদ্র রৌদ্রের খরতাপে তিনি সবুজ কাব্যকণিকা হয়ে ঘুরে বেড়ান আমাদের চারপাশে। পবিত্র এক সুধাস্পর্শ অনুরণিত হয় আমাদের শিরায় ধমনীতে, হৃদয়ের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে।
পারস্পরিক বিদ্বেষ ও বিভেদে ক্ষতবিক্ষত দীর্ণ এই দেশে সমস্ত শান্তির নবসেতুবন্ধনে নৈবেদ্যের ইশারায় সবাই মিলিত হই আপনার মুক্তধারার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাহিত্যবৃক্ষতলে। ভারতবর্ষে, সমগ্র বাঙালির শুভ চেতনার এক আকাশের গম্বুজের নিচে জোড়াসাঁকো আজও জোড়া লেগে আছে তার সেই সুমহান ঐতিহ্য নিয়ে।
শতাব্দীর সভ্যতার ইতিহাস পেরিয়ে ওই তো মহামানব আসেন। আজ পঁচিশে বৈশাখের সেই পুণ্য প্রভাতে মন্ত্রমুগ্ধ দৃষ্টিতে আপনাকে অবলোকন করি। আপনি সেই দিব্যকান্তি মহামানব, যিনি আজও সমানভাবে বিরাজমান— আমাদের চেতনায় অনুভবে ভালোবাসার ঘ্রাণে, আমাদের হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ!
ওই শুনি— ” রুদ্র, তোমার দারুণ দীপ্তি
এসেছে দুয়ার ভেদিয়া
বক্ষে বাজিছে বিদ্যুৎবাণ
স্বপ্নের জাল ছেদিয়া। ”
🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল : ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩০ (০৯|০৫|২০২৩)