🍁
আজ বাইশে শ্রাবণে ঈশান কোণে পুঞ্জিভূত মেঘ
ঝরঝর বরিষণে কেঁদে চলেছে শ্রাবণের আকাশ
সেদিনও কেঁদেছিল আকাশের সাথে আপামর মানুষ
যেদিন তাদের প্রাণের ঠাকুর চলে গিয়েছিল চিরতরে
সেদিন থেকে নিত্যদিনের দিনযাপনে তোমাকে খোঁজে বাঙালি
খুঁজে বেড়ায় তাদের রবিঠাকুরকে, কবিগুরুকে, বিশ্বকবিকে
তোমাকে আমরা খুঁজি তোমার অফুরাণ ভাণ্ডারে
তোমারই গল্প-গান-কবিতার বিশাল সাম্রাজ্যে
শিশুপাঠ্যে, বিশ্ব বিদ্যালয়ের সিলেবাসের পাতায়
দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ থেকে আন্তর্জাতিকতায়…


আজ দিনশেষে যখন নরম আঁধার ঘনায়, আমি ডুবে যাই
গভীর থেকে গভীরতর এক আশ্চর্য মায়াময় মগ্নতায়
টের পাই তোমারই রূপ-রস-গন্ধবিধুর অনুভব
এই ঝরা শ্রাবণের রিমঝিম বৃষ্টির ছন্দে রবিঠাকুর
এই পৃথিবীতে এত যে ফুল ফোটে, তার গন্ধে রবিঠাকুর
গভীর অন্ধকার থেকে তোমার রবিরশ্মির উজ্জ্বল ছটায়
উদ্ভাসিত তুমি এসে হাত বাড়াও ‘রঞ্জন’ হয়ে
আর আমরা তোমার ‘নন্দিনী’ অথবা ‘লাবণ্য’ হয়ে
বারবার ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই তোমাকে পলে পলে, প্রতিক্ষণে
সীমাহীন প্রেমে ডুবে যাই তোমার ‘অমিত’ ভালোবাসায়
দেখি অনন্ত অজানাপথে সবখানে তোমারই কারুকাজ
দেখি, — “কী বিচিত্র শোভা তোমার, কী বিচিত্র সাজ!”


🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩০