কতকাল বিদেশী শৃঙ্খলের বেড়ি পরে
মা দাঁড়িয়ে আছেন গরাদের পিছে
ফ্যাকাশে মুখের বিষণ্ণতায়, গভীর ক্লেশে..
সন্তানেরা সোচ্চার ও সংগ্রামী শপথ নিয়েছিল
রক্তস্রোতের নির্ভিক চেতনায় পাঁজরের নিচে।
তারপর, অনেক আবেগ-উদ্দীপনায়, সমর্পণে
অনেক প্রাণের বিনিময়ে, রক্তের ঋণে
এসেছিল স্বাধীনতা—
ঠিক যেন মায়ের হাতে ধোয়া
চকচকে কাঁসার থালার মতো সূর্য
তিমির যুগের অবসানে এল
ভারতে স্বাধীনতার অরুণোদয়!
.
তবে, ৭৫ বছরের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসে
উজ্জ্বল সূর্য-খচিত গণতন্ত্র দিগন্তে
কেন এই রাহুগ্রাস
কেন এই রক্তক্ষয়, এত হিংসা-দ্বেষ
সুবিধাভোগীর কেন এত আস্ফালন?
এ যেন আত্মবিস্মরণের কাল
আত্মহননের প্রয়াস!
হে ভারত!
এইবেলা রক্ষা করো তোমার গণতান্ত্রিক আবহ
তা না-হলে, —তোমার গরিমার আত্মপরিচয়টি
হারাবে অচিরেই,
যে পরিচয়-পতাকা সেদিন দুর্জয় দুঃসাহসে
উড়িয়ে দিয়েছিলে ১৯৪৭ সালের ১৫-ই আগস্ট।


.
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
১৫|০৮|২০২২