🍁
পরম বিশ্বাসের আজ চোখ পিটপিট
নব নব অনুরাগের জোয়ারে সন্তরণ
দুই নেত্র ঈষৎ প্রসারিত, কিঞ্চিৎ বিস্ফারিত
লোভ ও লাভের স্রোতধারায় ক্রমধাবনশীল…
তুমি চক্ষুষ্মান— তথাপি অন্ধ
ট্রেন, স্টেশন ছাড়ার আগেই প্লাটফর্ম বদল
কারসাজিতে শুধুমাত্র একটা ডিগবাজি
কেয়া বাত, কেল্লা ফতের ভোজবাজি
তাতেই কর্মসিদ্ধি, কামসিদ্ধি আর তাতেই উদ্ধার
দু’কান ঘচাং করে কেটে ফেলি
কত সহজেই সমস্ত নিন্দামন্দের ঊর্ধ্বে উঠে যাই
নীতিহীনতা ও নির্লজ্জতার সীমা অতিক্রম করে
সেই পথেই উত্তরণের মূর্ত প্রতীক হয়ে যাই
বিস্তীর্ণ তারাভরা রাতে একটাও শব্দ হয় না
কবিতার শরীরে নিবের আঁচড়ে দগদগে ঘা, ক্ষত
দেয়ালে দেয়ালে লেখা বিপ্লবী স্লোগান মুছে গেছে
শত সহস্র বছরের গর্বিত অহংকারের
কী নির্মম অপব্যয় আর পরিহাস
খেলা, হাসি, গান, যাপিত এই উন্মাদ কালক্রম
বয়ে চলেছে স্বপ্নধারা এই নশ্বর জগতে
বিশ্বাস আজ ঘোর অবিশ্বাসী, নাস্তিকের মতো
জ্যোৎস্নার রুদ্ধ অভিলাষ থেকে
নিকষকালো রাত্রিকে চুঁইয়ে পড়তে দেখে
আজ নিশ্চুপ নিশ্চল নির্লিপ্ত আকাশ
ভুলে গেছি কবে মৃদুমন্দ দক্ষিণ বাতাস
এখন কালবৈশাখী সই, কী এক বিমর্ষ গ্রীষ্মদিন
যেন দিন নয়, মহারাত্রি, নিরন্ধ্র আকাশ
বসে থাকি চুপচাপ, বিচিত্র সব কাণ্ড দেখি
রাজনীতি-পসারিদের জনগণমঙ্গলের গ্রহগান
লীলাকীর্তন দেখি, আর—
তাল ঠুকি, মাথা ঠুকি, ঝুঁকে আসছে মাথা
ঝুঁকতে ঝুঁকতে একেবারে পায়ে পড়ে যাচ্ছি
হাওয়া, আবহাওয়া, দশদিক, পঞ্চভূতে বিলীন
ইহজন্ম থেকে দূরে চলে যেতে যেতে
আমরা পায়ে পায়ে রেখে যাচ্ছি চারপাশে
আসলে সর্বনাশের বীজমন্ত্র, ইহমৃত্যু উপচার..


🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ০২|০৬|২০২৩