হঠাৎ আমার দৃষ্টি চলে যায়
তোমার কোমল বুকের নিভৃত দুরূহ কোণে
যেখান থেকে উঁকি দিচ্ছে নিপুণ হাতে আঁকা
রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা একটি ট্যাটু!
যেন কার্ডিয়াক জোনে, —'সুন্দরী বিজ্ঞাপন'
যেখানে হামলে পড়ছে প্রতিদিন প্রতিনিয়ত..
আমারই মত সমূহ পুরুষদৃষ্টি!
অথচ,
ট্যাটু-টি বিরাজমান প্রাচীন শিলালিপির মত
যার ভাষা পাঠোদ্ধার করা অতি দুঃসাধ্য কাজ!
তাই বলা যায় যে—
ট্যাটু-টি চরম উন্মাদনা সৃষ্টিকারী এবং একই সাথে
বিচিত্র খেয়াল ও উদ্ভট কল্পনার জোগানদার।
পুরুষমনে অহরহ চলে এক গোয়েন্দাগিরি..
কেউ ভাবে, এ হল পর্যটকদের জন্য
বিপজ্জনক অতল গিরিখাতের সতর্কবার্তা;
আবার কেউ ভাবে, সদ্য পাখা-গজানো
পতঙ্গদের জন্য লেলিহান অগ্নি-কোলাহল!
.


আমার মনে হয়,
ট্যাটু-টি আসলে একটি নৈঃশব্দ্যলিপি
যে নীরবে বার্তা দিচ্ছে —
কিছু সূত্র পাঠোদ্ধার করা যায় না।
ট্যাটু একটি প্রতীক,
যার কোনো যতি চিহ্ন নেই.., যা কখনোই
ছদ্মবেশী প্রেমিক পুরুষদের কাছে বিক্রয়যোগ্য নয়;
সে পেরিয়ে যায়, বিক্রয়যোগ্য সীমা থেকে দূরে—
অনেক দূরে, অসীমের পথে..!


টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
২৯|০৬|২০২২