দিকে দিকে আজ রঙের ছোঁয়া—
আকাশে-বাতাসে, গাছে গাছে লেগেছে দোল
শরীরে ও মনে আজ ফাগুয়ার রঙ!
কোন রাস্তায় যাই?
রাস্তা পেরোতে গেলেই রঙ লেগে যায়।
আমি তো মর্মের সেই রঙ খুঁজি
ঢেউয়ের আঁচলে ঝিনুক কুড়োতে গিয়ে
ছুটে যাই সমুদ্রতটে..
দেখি, সারা অঙ্গে কত রঙ মেখে শুয়ে আছ তুমি,
অথচ—
অনুভবে পাই না খুঁজে, সেই প্রোজ্জ্বল রঙের ঐশ্বর্য্য!
দলছুট এক পাখি দেখি,
উড়ে যায় অপরাহ্নের রাধাচূড়া মেঘ পার হয়ে..
মনে পড়ে যায়—
প্রিয়া ফেরে নি ঘরে, নিভু নিভু আলো শিখা
পলাশবনে, কৃষ্ণচূড়ার মনে ফিকে রঙ ধরে
যাপনের অনুষঙ্গ, আহার-পানীয় পড়ে অনাদরে!
অহেতুক ভালোবাসায় একাকী মন অধিক পুড়ে যায়
তাই, এ শরীর ব্যর্থ, — ব্যর্থ মনের যত লীলারঙ।
সম্পর্কের আলো নিভে গেলে—
গভীর বিচ্ছেদে, ক্লান্ত বসন্তের পূর্ণিমা চাঁদও
জ্যোৎস্নার রঙ শুষে খায়!
দলছুট পাখি-টা গভীর দীর্ঘশ্বাসে
স্মৃতিসিন্ধু ঢেউ তুলে মাটির বুকে আছড়ে পড়ে।
আজ আর, সেই রঙ নেই কোনো রাস্তায়
মর্মের সব রঙ হারিয়ে অস্তরঙ পৃথিবীতে
নশ্বর পথের শেষে—
পড়ে থাকে শুধু, ...একরাশ বিবর্ণ বিষণ্ণতা!