🍁
উঠোনের উদ্বাহু বকুলগাছটাকে দেখলে, আমার মনে শ্রীচৈতন্যের ছবি ভেসে ওঠে। তখন হাওয়ায় বাজে সংকীর্তন। তখন সেও এক স্পন্দন, এক ঐশী ডাক। পাথরের জমাট দুঃখের ফাটলে রামপ্রসাদের আকুল গানে জবাফুল ফোটে। দগ্ধ গ্রীষ্মের চৌচির মাটি ডাকলে আষাঢ়-বিপ্লব ঘটে। কৃষকের খিদে পেলে শস্যের স্তন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
মাটি-গাছ, মেঘ-জল ও আকাশের নীরব অস্তিত্বের এই নিঃশব্দ, —অথচ, কী স্পন্দময় তার সুর ও স্বর! জড় ও জীব— একে অপরের ডাকে সাড়া দেয়, জেগে ওঠে। প্রকৃতির কী অপার করুণা! কুন্ঠায় কেঁদে ওঠে আমার আকুল ব্যাকুল প্রাণ।
অশ্রুবীজে রেখে যাই আমার সাড়া, পৃথিবীর পথে পথে। কোনো ব্যাকুল হৃদয় খুঁজে নেবে ধরিত্রীর রাগিণী, চৈতন্যের সেই নীরব সুর ও স্বর;.. জীবনের শব্দকল্পদ্রুম!


🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ১১|০৫|২০২৩