🍁
বেলাশেষের শরীরে এখন অসুখের উদযাপন। রাত দশটা বাজে। ওষুধের বাক্সটা ঘুমিয়ে পড়েছে। একা ঘরে শুয়ে শুয়ে টিকটিকির লেজ নাড়া দেখি। ক্রমশ আমারও ‘অ্যালপ্রাজোলাম’-এর তন্দ্রা আসে। ঢাকাতে পূর্বাশা থাকত, এখন মুম্বাইতে। হয়তো পশ্চিমের বারান্দায় বসে সে এখন সূর্যাস্ত দেখে রোজ। কতকিছু মনে পড়ে, মনের মধ্যে আবছা ঢেউ। চোখে ভাসে নিরাকার একটা ছায়াপথ।
ভালোবাসাময় সন্ধ্যাটুকু উপভোগ করছিলাম বেশ। হঠাৎ সেও রাত্রির রাজনীতিতে আচ্ছন্ন হয়ে ঢলে পড়ে..
ভালোবাসা আসলে একটা খিদের ফুলগাছ। জল দিলে বাড়ে, যতটা মন দেবে— ঠিক ততটাই। পরম শুশ্রুষার আশ্রয়ে থাকে সে।
হেঁটেছি ক্লান্ত দীর্ঘ পথ। এখন দুজনেই আমরা গন্তব্যের খুব কাছেই। হাতে ধরা কুকুরের বাঁকা লেজ। নিরন্তর সোজা করার কী আশ্চর্য ব্যর্থ ব্যাকুল প্রয়াসে মগ্ন!
বুকের বাঁদিকে যন্ত্রণা হলেই এখন রুটিন ‘চেক-আপ’। ই. সি. জি. রিপোর্টে ধরা পড়ে একটা অনিয়মিত গ্রাফ—
একটা অভিমানী ধূসর ঢেউ,..ওঠে আর নামে, ..ওঠে আর নামে…


🍁
টালিগঞ্জ, কোলকাতা।
রচনাকাল > ২০|০৫|২০২৩