কলকাতার এই আজব ধাঁধায়-
           ধাঁধল আমার মন ,
ভাল-মন্দর কিযে খেলা -
           চলছে হেথায় কি ধরন ¡
এখানে বাবাকে কেউ ড্যাড্ ডাকে  _
             আবার মামি বলে নিজে মা'কে ¡
হেথা ছেলে কি মেয়ে  যায়না চেনা -
             ছেলে-মেয়ে দেখলে পরে চোখ ধাঁধায় ¡
মেয়েরা লম্বা চুল কেটে ফেলে -
             ছেলেদের পিঠে লম্বা চুল দোলে ¡
মেয়েদের হাতে নেই শাঁখা চুড়ি -
             পরে জিনস্ ,টি-সার্ট ছেড়ে , শাড়ী,কুর্ত্তি-চুড়ী ,
ছেলেরা কুর্ত্তি   আর চুড়ীদার পোরে -
             দিয়ে  কানে দুল,হাতে চুড়ি , করে রে ভাই ঘুরা ঘুরি ।
মেয়েরা সিঁথিতে সিঁদুর দেয়না -
                    হাল ফ্যাসানে বাজী মাতায় ¡
আবার বাড়ীর খাবার মুখে রোচেনা _
                           রেস্তোরাঁতে খেতে যায় ¡
মাছ ,শাক ,ভাতে মন ভরেনা-
                     খাবে চিলি চিকেন ,কাবাব ,পোলাও ।
তাদের পানীয় জলে গলা ভিজেনা-
                       বলে "জলদি জলদি 'বিয়ার' লেকে -আও " ।
এখানে যারা করে চুরি -
                তাদের বড় বড় কথার ফুলঝুরি ,


নিরিহ সৎ মানুষ যারা -
           তাদেরই হয় প্রাণ হনন ।
আবার সহজ সরল মানুষ যারা -
            উপকার করে জীবন পন ।
তারা নিজেরা নিজের কাজ গুছিয়ে -
            তাদের  করে নির্মূলীকরন ।
এসব দেখে চোখ ধাঁধালো -
              দুনিয়াটা দেখি কালো ,
ভাবি মরে গেছি কি বেঁচে আছি -
                  নিজেই নিজের গায়ে চিমটি কাটি তখন ॥


               ************
   (   আজকের কবিতা ৪০০ তম প্রয়াস )