২৩ শে জানুয়ারী ১৮৯৭ সালে অগ্নিযুগের
"অনির্বান সৈনিক " অগ্নিশিশু ,
                সুভাষচন্দ্র জন্ম নিলে তুমি ,
উড়িষ্যার কটক শহরে জন্মিলে ,যেথা তোমার প্রিয় জন্মভূমি ।
জানকী নাথ বোস পিতা তোমার মাতা প্রভাবতী দেবী ,
জানকী নাথ বোস পিতা করতেন কটক শহরে উকলাতি ।
জানকী নাথ ও প্রভাবতী দেবীর চৌদ্দজন  সন্তান ও সন্ততি ,
সুভাষ চন্দ্র বসু ছিলেন  তাঁদের নবম সন্তান হৃদয় মহতি ।
শৈশব থেকেই দেশমাতৃকার প্রতি তাঁর টান ,
তাই তিনি এগিয়ে এলেন দেশমাতৃকার বাঁচাইতে মান ।
মহাপ্রাণ স্বামীজি ও ঠাকুর পরমহংস দেবের ভাবাদর্শে অনুপ্রানিত হলেন ।
দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সহায়তায় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঝাঁপ দিলেন ।
একবার কলকাতার মেয়র ও দু'দূবার কংগ্রেসের সভাপতি হন নির্বাতিত ,
গান্ধীজির সাথে " অসহযোগ আন্দোলনে " যোগ দেন ,তাঁর সাথে মতের অমিল হওয়ায়,
কংগ্রেস দল ত্যাগ করে "ফরওয়াড় ব্লক"নামে দল করেন সংগঠিত ।
১৯৪১ সালে ২৬ শে জানুয়ারী ইংরেজ সরকার তাঁকে গ্রেপতার করে গোপনে ,
বিপ্লবী রাশবিহারী বসুর সঙ্গে মিলিত হয়ে তখন প্রথমে জার্মানে পরে জাপানে -।
"আজাদহিন্দ ফৌজ " সেনাবাহিনী গঠন করেন এবং নেতৃত্ত দেন ,
তখনই সুভাষ চন্দ্র বোস "নেতাজী " নামে খ্যাতি লাভ করেন ।
বৃটিশের অপশাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে এক ঐতিহাসিক অভিযান "দিল্লি চলো "
শুরু করেন ।
মণিপুর পর্যন্ত সেনাবাহিনীকে এগিয়ে নিয়ে আসেন এবং পতাকা করেন উত্তোলন ,
১৯৪৫ সালে ১৮ ই আগস্ট ফরমোসা  দ্বীপের ' তাইহুক '  বিমান দূর্ঘটনায় হয় তাঁর মৃত্যু ।
ভারতের নাগরিকদের বিশ্বাস তিনি মৃত্যুর অতীত ,
চির অমর , আমাদের মধ্যে এখনো জীবিত।
তোমার  আসন পূর্ণ কখনো  হবেনাকো
কোনদিন ।
বিহনে তোমার শূন্য আসন পড়ে রবে চিরদিন ।


                  **************


সন্ধ্যা -৫:১৭ মিনিট ,
১৮ /০১ /২০১৯ শুক্রবার ,
কেরাণীটোলা = মেদিনীপুর ।