সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য
       প্রথম সর্গ (৩০-৪৬)
     রাজুব ভৌমিক (রাজু)


ধর্ষক ইন্দ্রের জাল্ম ক্রিয়ার পারম্পর্যে,
অভাগী অহল্যা, ক্লেশ দিনানিপাত করে,
স্বামী গৌতম আমর্ষে, শাপে তার অহল্যা,
“অহল্যা সর্বপাপী! যে অপকর্ম করিলে,
  মোর নিরূদ্দিষ্টে, ইন্দ্র সমেত সহবাস!
সওয়ালের যোগ্য কি হীন কুকান্ড! ইন্দ্রে?
  বশত এই আশ্রমে, বায়ুমাত্র ভক্ষনে,
অনাহারে পট্ট শয্যা, সহস্র সৌরবর্ষে,
কারূণ্যে অনুশোচনে, একাকী এ জঙ্গলে,
যতদিন নাহি রাম, ভ্রমন এ আশ্রমে,
সংস্পর্শ দেয় পায়ের, মুক্তি তোর জীবনে।”
অপিচ গৌতম শাপে, ইন্দ্র সে নপুংশক!
  পুরুষত্বহীন ইন্দ্র, বৈকুন্ঠকে মিনতি,
দেবতাপ্রিয় বৈকুন্ঠ, ইন্দ্রের আর্জি শুনে
পুরুষত্ব দেয় ফিরে, অহল্যা নাহি জানে;
ধর্ষিতা অহল্যা বিনা কারনে, অনাহারে
জঙ্গলে একাকী কষ্ট প্রভূত, অসুর কে?


চলবে......


মালতী-অমিত্রাক্ষর ছন্দ: প্রতি ছত্রে ১৫ টি অক্ষর, প্রতি ছত্র বা চরণ অাট এবং সাত মাত্রায়, এবং চরণগুলির অন্ত্যবর্নের মিল থাকেনা।