সমুদ্রমন্থন মহাকাব্য
      প্রথম সর্গ (১৮৯-২০৫)
           রাজুব ভৌমিক


শুনিয়া প্রার্থনা তিনি, অতন্দ্রি অবশেষে,
পরমেশ্বর দেখিলো, ব্রক্ষ্মা কান্ডালী বেশে,
  মহাদেব অভ্যাগম, দেবতারা নিবর্ত,
প্রনাম করে দেবতা, মিলিয়া দুই হাত।
ওহে সর্বজ্ঞানী! তুমি জানো মোদের দৈন্য
দুর্দশা বেহদ্দ প্রভু, স্বর্গরাজ্য গো বিনে,
তুমি বিনে কেউ নাহি দেবতার বিষাদ,
মুক্তি দাও দেবতারে, ইন্দ্রের স্পষ্ট কথা।
পরমেশ্বর ক্ষিপ্তবৎ, প্রতিকূলে অসুর,
পরদুঃখকাতরতা, ঐশ্বরিক করুণা,
বলে প্রভু, “শান্ত হও, সবি যাথাথ্র্য হবে,
সন্ধি তোমরা করিবে, অসুরের সাহ্লাদে”।
বাজ পড়ে যেন মুন্ডে, সর্ব দেবতাগনে,
এ কেমন বার্তা শুনি, প্রভুর উচ্চারণে;
অন্বয় মোর শোন হে, প্রাণের দেবগন,
সন্ধিতে অসুর সনে, যতদ্রুত ফলিত,
সমুদ্রমন্থন করো, অসুর সঙ্গ মিলে।


চলবে.....


মালতী-অমিত্রাক্ষর ছন্দ: প্রতি ছত্রে ১৫ টি অক্ষর, প্রতি ছত্র বা চরণ অাট এবং সাত মাত্রায়, এবং চরণগুলির অন্ত্যবর্নের মিল থাকেনা।