সয়ম্ভু মনে অনুরাগের বীজ জন্মেছিল
সেই মেয়েটির হস্তের লাল,নীল,হরিদ্রা,কঙ্কণ দেখে
মনে হ-য-ব-র-ল   অবস্থা বিরাজ করেছিল
এমন হেমাঙ্গ হস্ত আজ অবধি দেখিনি?
প্রেমাস্পদা ভেবে তার চন্দ্রানন বদনখানি দেখতে চেয়েছিলাম
কিন্তু তা আর হল না
বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া প্রকটিত হল!
প্রাঞ্জল ভাষা রুক্ষ হল হেঁজিপেজি ভেবে
জাত্যভিমানের হুঙ্কার ছাড়ল
নিজেকে হামবড়া ভাবতে লাগল।


তার মদগর্ব দেখে মদীয় মনোরথ ক্ষুণ্ন হল
মর্মপীড়া স্ফীত হতে লাগল
মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরায় উন্মাদনা ছড়িয়ে পড়তে লাগল।


প্রেম দেবতা মদনের কাছে অর্চনা করলাম
আমায় সেই মেয়েটির সঙ্গে যোজনা করে দিন,
হে বৎস তুমি ওর জীবনে বরাহূত
তাহলে আমি কি সেই মেয়েটির সঙ্গে তেখা করতে পারব না
প্রেম দেবতা মদন কোন রা' করল না তৃষ্ণীম্ভাব করলেন।


সেই মেয়েটিকে দেখার তরে মন অস্থির হয়ে উঠল
কিন্তু অদৃষ্টের পরিহাস প্রেম দেবতা মদনও কিছু করতে পারল না,
রায়বাঘিনীর রুদ্রলীলায় পর্যদুস্ত হলেন
সেখানে আমি তথা মদীয় পাগল মন কি করবে।


মন বারংবার বিদ্রোহ করে
সেই মেয়েটিকে দেখার তরে
কিন্তু, কিছুই করতে পারি না ও যে রায়বাঘিনী
তাই বাধ্য হয়ে মনের সঙ্গে
খন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হই,
কখনো সকালে,কখনো বৈকালে,কখনো ভোরে
যুদ্ধ করি,
কখনো মন জয়লাভ করে
কখনো বা আমি?
মন কখন সেই মেয়টিকে ভুলবে আর কখন এ যুদ্ধ কখন শেষ হবে
আর কখনি বা ফিরে আসব স্বাভাবিক জীবনে...