শ্রাবণ এসেছে বটে নেই তার ধারা বরিষণ,
আজকের ষড় ঋতুর দেখে যাই শুধু প্রহসন ;
ছেলেবেলা দেখেছিনু শ্রাবণের সেকি ধারাপাত!
ঝরে যেত অনর্গল ছিলো না তো দিন কিংবা রাত।
থই থই চারিদিক, মাঠ-ঘাট সব একাকার ,
দাদুরির মকমকি শুনে শুনে কান দুটো ভার ;
চাষিভাই টোকা মাথায় করে যেত আমনের চাষ,
অতি বরিষণে কভু ঘটে যেত ঘোর সর্বনাশ ।
ভেলা চড়ে সারাদিন কেটে যেত জলখেলা মাঝে,
সারাদিন একাকার সকাল বিকেল কিংবা সাঁঝে ;
বৈঠকখানা ছিল সরগরম শ্রাবণের বিকেল বেলা,
উঠতো জমিয়া সেথা গল্প আর অন্দরের খেলা ।
ইলিশের মরশুমে জেলেদের মুখে ছিল হাসি ,
রূপোলি ফসলে তাদের দুখ যেত সবটুকু নাশি' ;
ভরা কোটালের দিনে প্রাঙ্গণ ডুবে যেত জলে ,
হাবুডুবু খেতাম সেথা দুপুরের সেনানের ছলে ।
এখনো শ্রাবণ আসে, রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা,
খর তাপে কেটে যায় এখন এই দুপুরের বেলা ;
ঝিল-বিল-পুকুরের তলদেশে নাম মাত্র জল,
কোথায় হারিয়ে গেল শ্রাবণের বরষার ঢল!
=========