লন্ডন আইয়া সোনার ছান্দে
গলা ছাড়ি খান্দইন,
ফিঁয়াইজর ঝেংঘে ছখুথ খোঁছায়
ফিঁয়াইজ যখন খাটোইন।
হান্ডি বাসন ঘষি মানজি
আতর অবস্থা শেষ,
খান্দিয়া ফন খরইন মাইরে
আছেনি খুনো ক্যাশ।
লন্ডন আর থাখতাম নায়গো মাই
তুমার ফাওটাত ধরি,
টিখেটোর লাগি টেখা ফাঠাও
দেশো আইয়া মরি।
মনো খর্ছলাম লন্ডন বুঝি
গাছোত টেখা ধরে,
আইয়া দেখি হুখনা ফাতা
ঝরি ঝরি ফড়ে।
ঠ্যাংগর উফরে ঠ্যাং তুলিয়া
দেশো বইয়া খাইছি,
ইনো আইয়া আমি নিজে
খামলা বেটা অইছি।
শ্বাস ফালাইবার সময় নাইগো
খালি খাম আর খাম,
মিশিনোর লাখান খাম খরিয়াও
ফাইনা খুনো দাম।
জানে আর জারের না গো মাই
দেশোউ আমার সুখ,
মরখিয়ে ধরছিল লন্ডন আইয়া
খান্দিয়া ভাসের বুখ।


লন্ডন এসে


লন্ডন এসে সোনার চাঁদে
গলা ছেড়ে কাঁদেন।
পিঁয়াজের ঝাঁঝে চোখ খোঁচায়
পিঁয়াজ যখন কাটেন।
হাড়ি পাতিল পরিস্কার করে
হাতের অবস্থা শেষ
কেঁদে ফোন করেন মাকে
আছে কি কোন ক্যাশ?
লন্ডন আর থাকবো না মা
তোমার পায়ে ধরি
টিকেটের জন্য টাকা পাঠাও
দেশে এসে মরি।
মনে করেছিলাম লন্ডন বুঝি
গাছে টাকা ধরে,
এসে দেখি শুকনো পাতা
ঝরে ঝরে পড়ে।
পায়ের উপরে পা তুলে
দেশে বসে খেয়েছি
এখানে এসে আমি নিজে
কাজের লোক হয়েছি।
শ্বাস নেওয়ার সময় পাই না
শুধু কাজ আর কাজ
মেশিনের মতো কাজ করেও
পাইনা কোনো দাম।
প্রাণে আর সয়না গো মা
দেশেই আমার সুখ,
মরণের ডাকে লন্ডন এসে
কেঁদে ভাসাচ্ছি বুক।


শব্দ ব্যাখ্য :- ছান্দে- চান্দে, খান্দইন- কাঁদেন,
ফিঁয়াইজর- পেঁয়াজের, ঝেংঘে- ঝাঁজে, ছখুথ- চক্ষে,
খোঁছায়- খোঁচায়, খাটোইন- কাটেন, ঘষি মানজি- ঘষে মেজে, আতর- হাতের, খরইন- করেন, খুনো- কোনো,
ফাওটাত- পা’তে, টেখা- টাকা, ফাঠাও- পাঠাও,
খর্ছলাম- করেছিলাম, হুকনা ফাতা- শুকনো পাতা, ফড়ে- পড়ে, খামলা বেটা- কাজের বেটা, খাম- কাজ, ফাইনা- পাইনা, মরখিয়ে ধরছিল- মরণে ধরেছিল, বুখ- বুক।


আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন, না পারলে আমাকে বলবেন।