বিদেশ থেকে এসেছিলো ফিরে করিমগঞ্জের আলী
শুনেছি সেথায় নিত্যদিন ই খেতো মালিকের গালি,
মারধর ও খেয়েছে অনেক, দিয়েছেও যে উপবাস
তাহার পরেও হাসিমুখে ছিলো যে সে পরবাস।
কষ্ট হলেও ভাবতো বসে মাস শেষে পাই টাকা
টাকা ছাড়া থাকবে সবার হাত গুলো যে ফাঁকা,
টাকা কড়ি জমিয়ে অনেক দেশে বানালো বাড়ি
পরিবারের সুখের জন্য কিনে দিলো একটা গাড়ি।
হঠাৎ যে তার ভাগ্যের চাকা উল্টো পথে টানে
দূর্ঘটনায় এক পা গেলো বাঁচলো কেবল প্রাণে,
অংঙ্গ ছাড়া মানুষের কি কোনো কদর আছে!
তাইতো সে সব ছেড়ে ছুঁড়ে ছুটলো মায়ের কাছে।
দেশের মাটিতে এসেই যে তার চক্ষু চড়ক গাছ
সকলে তারে ভাবছে বোঝা হায়রে সর্বনাশ,
কষ্টে তার বুকটা ফাটে মুখে নাই কোনো হাসি
দুঃখে শোকে পাথর হয়ে দিলো গলায় ফাঁসি।
এমন করে কত আলী দিচ্ছে তাদের জীবন
সারা জীবনের কষ্টের ফল কি এই নিঠুর মরণ?