১৩৫৮ সালের ৮ই ফাল্গুনের রক্তস্নাত দিনটি, কি বার ছিল!
জানিনা কেন, কোন কৌতুহলের বশে, হঠাৎ করে এই প্রশ্নটা, আমার মন কাননে উঁকি দিলো।
ঐদিন কি সুয্যি মামা তার সোনালি কিরণ ছড়িয়ে,
পূর্বদিকে হাসিমুখে উঠেছিল!
নাকি গর্ভবতী মেঘের কোলে চুপটি করে গোমড়ামুখে লুকিয়েছিল।
মেঘ কি করছিল পণ, বৃষ্টি নামক সন্তানকে শান্তির বার্তা দিয়ে, পাঠাবে ভূপৃষ্ঠের বুকে!
আর ধরিত্রী করবে স্নান মনের সুখে।
সেদিনের বাতাসের গন্ধ, কেমন ছিল!
খুব জানতে ইচ্ছে করে।
জানতে ইচ্ছে করে ঐদিনের চলমান জীবনের ধারাপাত ছিল কেমন, কি স্বপ্ন নিয়ে তারা জেগে উঠেছিল সেদিনের প্রভাতে!
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ, আরো নাম না জানা অসংখ্য তরতাজা প্রাণ কি মৃত্যুর ঘ্রাণ, আগে থেকেই পেয়ে গিয়েছিল অজ্ঞাতে!
ওরা কি বুঝতে পেরেছিল, আগামীদিনের সূর্যোদয় হবেনা দেখা আর।
পাখির গান, ভ্রমরের গুঞ্জন, নদীর কলতান দিতে হবে ছাড়! মায়েদের বুকে হবে এক চিরস্থায়ী ক্ষত,
যা শুকোবেনা কখনো হাজার বছর হলেও গত।
`রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ বলে বাংলার আকাশে বাতাসে যে জিগির তারা তুলেছিল, রাজপথে দিয়েছিল ঢেলে বুকের তাজা রক্ত। সেটা কি কোনো অংশে ছিল কম!
তার ফল, আজ কে ভোগ করছে, আমরা? আমরা বাঙালী নামের মানুষরা তাদের আত্মত্যাগের মূল্য কতটুকু দিতে পেরেছি? যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখি, শুধু শক্তের ভক্ত নরমের যম।
রক্তস্নাত ৮ই ফাল্গুনের নামে আজ ডুমুর ফুলের পসরা বসে।
গরু মেরে জুতা দান চলে বেশ কসরতে।
দুধের মাছিদের আনাগোনায় সরগরম হয়ে উঠে বাংলার মাটি। জন্ম দেয় আরেকটি প্রশ্নের,
আমার এই ছোট্ট মনের ঘরে, আর কত রক্ত দিলে হব তুমি, আমি আমরা সবাই পবিত্র, এক্কেবারে খাঁটি?