চেতনার গভীরে প্রবেশের উচ্চাকাঙ্খা নিয়ে
যখন খুড়তে লাগলাম নিজেকে
দিবস - রজনী খেটে মরে শেষে
যখন পেলাম নিজের শেঁকড়
বড় অসহায় মনে হচ্ছিল আমার পূর্বপুরুষদের ।


শোষকের তাড়া খেতে খেতে
নিজ শান্তিপ্রিয়তার জন্য নিজ ভূম ছেড়ে
বাঁচার সুতীব্র বাসনা মনে নিয়ে
পালাতে পালাতে দূর্গম পাহাড় আর টিলা
অতিক্রম করে সমুদ্রের শেষ ভাগে এসেও কি আত্নরক্ষা হলো ?


যে শোষকের ভয়ে দিবা নিশি পলাতক থেকে
শান্তির পায়রার খোঁজে চষে বেড়িয়েছিল
অচেনা আর অনুর্বর প্রান্তর
সেই অনুর্বর প্রান্তর আজ সুফলা আর
তাঁদের গর্ভ হতে জন্ম নিল
আজীবনের ভয় আর পালিয়ে থাকার অনুসর্গ
রক্তচোষা শোষক ।।


আর আমি নিজ চেতনায় জাগতে গিয়ে
নিজের অবয়ব দেখে
আর পূর্বপুরুষদের বাসনার সাথে
নিজের কৃতকর্ম মিলিয়ে
জাগতে গিয়ে ডুবে গেলাম ।।


পুনঞ্চঃ
বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের শেঁকড় খুড়তে গিয়ে যা পেলাম তার পরিপ্রেক্ষিতে এই কবিতাঃ
সুত্রঃ চর্যাপদঃ
চর্যার ৪৯ নম্বর কবিতায় ভুসুকুপা যা বলেছেন তার মর্মার্থ হলো: পদ্মা খালদিয়ে বজরা নৌকায় যাচ্ছিলাম। পথে নির্দয় দস্যু দেশ লুট করে নিল। সেই দুঃখে ভুসুকু নতুন আশ্রয়ে বাঙালি হলো। আভিজাত্য ছেড়ে ঘর করল চণ্ডালির সাথে। নতুন জীবনে স্বার্থবোধ রইল না। কেবল রইল বিরাট এক পরিবার। সেখানে মহাস্নেহে সবাই জড়িত। একেই কবি বলছেন, ‘আমি ভুসু বঙ্গালী ভইলী’ অর্থাৎ আমি ভুসুকু সবার সাথে এক হলাম। জাতির ঘরে না জন্মালে জাতির সদস্য হওয়া যায় না। তাহলে ভুসুকু যে বাঙালি হলেন, তা নিশ্চয় জাতি নয়, নতুন চেতনা অর্জনের নাম।