কবিতাঃ- ধৈর্য শক্তি আবশ্যক
✍️ মনোজ ভৌমিক

ধৈর্য শক্তি আছে যাদের তারাই মহাগুণবান,
এই দুনিয়ায় দেখো ওরা হয়েছেন মহীয়ান।

ঐ ধর্মগ্রন্থেও আছে অনেক কাহিনী কাব্য কথা,
ধৈর্য শক্তি বলে ওরা আজও ভাস্বর যথা তথা।

যুগ পেরোনো ঐ সময় কথা বলবো বলো না কাকে?
ধৈর্য ছিল বলেই সিদ্ধার্থকে  তথাগত নামে ডাকে!

তপস্যারত মুনিঋষিদের ছিল অসীম ধৈর্য শক্তি!
সময়ের ইতিহাসে সেই জয়ী যার আছে নিষ্ঠা,ভক্তি।

স্বাধীনতা এসেছে কি আর এমনিই এই দেশে!
বিপ্লবীদের ধৈর্য্য শক্তি রঙ লাগিয়েছে পরিশেষে।

বৈদিকযুগে ধৈর্য্য-অধ্যবসায় দিতেন গুরু জ্ঞান,
বিবিধ ক্ষেত্রে শিষ্যগণ দেখিয়েছেন তার প্রমাণ।

মোহনদাস মহাত্মা হয়েছেন  নিজের কর্ম গুণে,
ঈশ্বরচন্দ্র বুঝিয়েছিলেন অধ্যাবসায়ের মানে।

রবীন্দ্রনাথ ভাব সাধনে পেয়েছিলেন নোবেল,
প্রফুল্লচন্দ্র জগদীশচন্দ্র ভাবার ধৈর্যে পাকল বেল।

মিশাইলম্যান আবুল কালামের ধৈর্য ছিল অশেষ,
অসীম তার মানবতায় রাষ্ট্রপ্রধান করলো দেশ।

শিক্ষা দীক্ষা অধ্যাবসায়ে ধৈর্য শক্তি চাই যে অটুট,
নইলে জীবন গয়ংগচ্ছ সময়ে বলবে "ঝুট"।

সময়ের সাথে ধৈর্য শক্তির যেন হারিয়ে যাচ্ছে রেশ,
মানুষ এখন সবকিছু চায় বিনা পরিশ্রমেই বেশ।

ধৈর্যচ্যুত হয় যারা সদা রয় মানসিক শোকে,
তাইতো আজ হতাশা আর ডিপ্রেশন চারিদিকে।