ঝমঝম করে পড়ে চলেছে শ্রাবণের ধারা,
খোলা জানালায় ছুটে আসা ছাটে.......
ভিজে গেল সারা শরীর ।
কানে ভেসে আসে শ্রাবণ-ধ্বনির সুর.....
“জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে
বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে.....” ।


আজ বাইশে শ্রাবণ,
শ্রাবণ-ধ্বনি ক্রমাগত শুনিয়ে চলে
গুরুদেবের তিরোধান দিবসের প্রয়াণ-স্মরণ ।
গুরু-গুরু মেঘের গর্জনে ধ্বনিত হয়,
জীবনের প্রতিটি ছন্দের অফুরন্ত মর্ম
“শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে পড়ুক ঝরে......” ।  


সপ সপে ভিজে শরীরে,
ছুটে চলেছি, চলেছি এক অজানায়....
সবুজ ধান ক্ষেতের মাঝে, দিগন্তের কিনারে ।
বৃষ্টির নিক্কন ধ্বনি তুলেছে রাগের মূর্ছনা,
“নুপুর বেজে যায় রিনি রিনি....
আমার মন কয় চিনি চিনি” ।


দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করি
কোথায় তুমি হে কবি ?
তুমি কি শুধুই ছবি ?
হঠাৎ বিস্তৃত দিগন্তে উদ্ভাসিত কবি
মুখে স্মিত হাসি, অস্ফুটে ধ্বনিত হয়...
“তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম.....”।    
         _______