ঝিরিঝিরি উত্তরে হাওয়ার ছোঁয়ায়…
আসে শীত ঋতুর আকাঙ্খিত পৌষ মাস,
গ্রাম-বাংলা যখন কাঁপে শীতের আবহাওয়ায়
তখন কারো কাছে ভাদ্র, কারো সর্বনাশ ।


সকালের ধোঁয়াশার পর্দা ভেদ করে----
সোনালী রোদ্দুর মনের সুখে যায় খেলে,
মাঠে-ঘাটে উঠোনের বিস্তৃত পরিসরে
খেজুর গুড় আর শীতের ফসল ধরে মেলে ।


মনের খুশিতে কৃষক যায় মাঠে….
সোনালী ফসলের আনন্দে উত্তাল হয় মন,
শিউলিরা ভোরে খেজুর গাছ কাটে
তৈরি হয় খেজুরের গুড় যা শীতের সপন ।


নলেন গুড়ের পায়েসের গন্ধে….
মৌ-মৌ করে ওঠে বাতাস,
ঘরে-ঘরে পৌষ-সংক্রান্তির সন্ধ্যে
স্মরণীয় করে তোলে পিঠেপুলি উৎসবের মাস ।


কনকনে ঠাণ্ডার প্রলেপে মকর সংক্রান্তির দ্বারে….  
দল বেঁধে যায় সবাই গঙ্গাস্নানে,  
বনভোজনের আয়োজন চলে নদী-দীঘির পাড়ে
রঙিন শীত-বস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উপস্থিত হয় অম্লানে ।


উথলে ওঠে আনন্দ মনের গহন নীড়ে---
ভরে ওঠে শাকসবজি আর ফলে গৃহস্থের গৃহকোণ,
গাঁদা, মনি কাঞ্চন, দেশি গোলাপের ভিড়ে ,
শীতের বিকেল রোমাঞ্চ জাগায় গৃহস্থের বিস্তৃত প্রাঙ্গণ ।


গ্রামের মাঠে বসে ছোট-ছোট মেলা…..
হরেক রকম জিনিসের চলে বেচাকেনা,
বড় মাঠে  ম্যারাপ বেঁধে আয়োজন হয় যাত্রা-খেলা
শীত-বস্ত্রে সকলে যায় সেথা, কেউ চেনা কেউ অচেনা ।  


শীতের সুখ ধরা দেয় উপভোগ্য আমেজ নেড়ে চেড়ে….
তবু এত আনন্দের মাঝেও হয়না দুঃখের অবসান,
শীতের ভয়াবহ দাপট কষ্ট দিয়ে কিছু মানুষের নেয় প্রাণ কেড়ে
এভাবেই সুখ-দুঃখের স্মৃতির সাথে শীতের হিন্দোল রাখে বিরাট অবদান ।।


             ***