শব্দগুলো কথাকলি হয়ে
চুপি চুপি কখন যে দিয়েছিলো হানা
মনের অন্তঃপুরে ভরিয়ে তুলেছিল
সুরের ছন্দমাধুরীতে সে অজানা ।


পিয়াসী বাতাসে বেজেছিল মধুরাগিনী
কখন এসেছিল সে সন্ধিক্ষণ ?
ভাবনায় নেই কোন কূলকিনারা ।


কালবৈশাখীর ঝড় ?
সে কি দিয়েছিল উড়ো ঘন কালো মেঘের
গুরুগম্ভীর আত্মবিলাপ ?
শ্রাবনের রিমঝিমঝিম রোমান্টিক
বৃষ্টি রেখার ক্যানভাস এঁকেছিল কি ?  
নিবিড় গহনে সুন্দর এক ধূসর ছবি  
জুঁই, বেলি, দোপাটির মিষ্টি হাসির আমেজ ।
শরতের পেঁজা তুলোর মাঝে
মনোরম অনুভূতিগুলো কি উঁকি দিয়েছিল ?
কাশ ফুলের দোল, ঝরা শেফালির সুবাস
ধরা দিয়েছিল কি শারদ ভাবপ্রবণতা ?
হেমন্তের গা-শিরশিরে শেষ বেলায়
ঝরে পড়া পাতার মেলায় উড়ে আসা
শব্দগুলো কি কানে কানে
হেমন্তিকার গান শুনিয়েছিল ?
শীতের ঘন কুয়াশা ভেদ করে  
সোনালি রোদের জড়িবুটি
কখনো কি উঁকি দিয়েছিল
অন্তরের অনেক গভীরে ?
শিশির ফোঁটায় ভিজেছিল
রক্তগাঁদার চোখের পাতা
বসন্ত বেলায় সাতরঙা আবিরে ভেজানো
শরীরে কি আছড়ে পড়েছিল
পলাশ শিমূল কৃষ্ণচূড়াদের খুনসুটি ?
বসন্তের কনে দেখা গোধূলি রঙে মাখা
শেষ বিকেলের পরশ কি রূপ দিয়েছিল
কথামালাগুলোর সৃজনি রূপ ?  
রাতের আকাশের তারাগুলো কি দেখিয়েছিল
কাব্য লেখনির প্রতিচ্ছবি ?
জ্যোৎস্না প্লাবনে ভেসে যাওয়া চাঁদ কি
তার রূপের মাধুর্য বুঝিয়েছিল ?
রবি ঠাকুরের গান কি
মনের অগোচরে দিয়েছিল কোন ভাষা ?


নদীর ছলছলানি, মাঝির ভাটিয়ালি সুর,
সাগরের প্লাবন, কে কখন কি ভাবে এসেছিল
কাব্য হয়ে সবটাই অজানা ।


শব্দগুলো কথাকলি হয়ে
চুপি চুপি কখন যে দিয়েছিল হানা
মনের অন্তঃপুরে ভরিয়ে তুলেছিল
সুরের ছন্দমাধুরীতে সে অজানা ।।