কতকগুলি অক্ষর যুক্ত হয়ে তৈরি হয়
বিভিন্ন আঙ্গিকে মোড়া শব্দ,
শ্রুতি-মধুর শব্দগুলিকে জুড়ে
বিভিন্ন আঙ্গিকে তৈরি হয় বিভিন্ন ভাবনা,
সেই ভাবনা ও চিন্তাধারা ফলপ্রসু হয় কবিতায় ।  
কখনো সেই উৎসগুলি আবদ্ধ হয় অন্তমিলে
আবার কখনো কাব্যের গতিরেখার ছন্দে,  
আর যিনি এর রূপ দেন তিনিই কবি ।
কবিতার এই চলার পথে কবি দেন
মানুষের মনে আনন্দ
বিরহ ব্যাথা থেকে মুক্তি,
তার ভাবনার সফল রূপে
চলার গতিপথে আসে বিভিন্ন সুখ-অনুভূতি ।  
কখনো কবির মনের ভাষায় ফুটে উঠে
রাগ-অনুরাগ, মান-অভিমান,
আবার প্রেমের বিরহ গাঁথার সাথে
উছলে ওঠে আনন্দের উচ্ছ্বাস,  
প্রস্ফুটিত হয় সমাজের বিভিন্ন চিত্র
জীবনের গল্প-গাঁথা ।
তাই, বলতে হয় -  
কবির কবিতার ভাষা হয়ে উঠবে সুমধুর
সহজ-সরল সাধারণ মানুষের বোধগম্য,
অতিক্রম করা নয় শালীনতার ঘেরা টোপ ।
কবির বড় গুণ সৌজন্যবোধ
যার দ্বারা কবির লেখনী-বন্ধনে  
ফুটে উঠবে পরিশীলিত-মার্জিত বন্ধন ।
তাই, আজও কথা-মালার বন্ধনীতে নমস্য যাঁরা
তাঁদের চরণে জানাই শতকোটি প্রণাম ।
হাজার হাজার বছর ধরে
কবি লিখবেন কবিতা,
আর অমর হয়ে থাকবেন মানুষের মনে
কারণ কবি ও কবিতার অস্তিত্ব চিরকাল ।।
                     *****