আষাঢ়-শ্রাবণের শুক্লা পঞ্চমী তিথি
মানব-কূলে এ অতি মাহেন্দ্রক্ষণ  
পৌরাণিক বিশ্বাস বলে হয় নাগদেবের আরাধনা
নাগদেবের আশীর্বাদ লাভে ব্রত হয় মানবসর্বজন ।


পারিবারিক সমৃদ্ধি ও সার্বিক কুশলতা হয় বর্ধন
পুরাণে বর্ণিত বাসুকির অবতার বলরাম শেষ মন্থন ।


তক্ষক নাগের দংশনে মৃত্যু ঘটে পরীক্ষিতের
পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধে পুত্র জন্মেজয়
আয়োজন করেন সর্পবধ যজ্ঞ
জরৎকারু মুনিপুত্র আস্তিক করেন নিরস্ত, জয় করে ভয় ।

বন্ধ হয় সর্পবধ যজ্ঞ, রোধ হয় তাদের লয়  
‘নাগপঞ্চমী’ নামে পুজিত হয় সারা দিন-ময় ।


দুগ্ধ, চন্দন, হলদি, সিন্দুর দিয়ে
শুরু হয় নাগদেবমূর্তির সন্মুখে শ্রদ্ধা-জ্ঞাপন
প্রজ্বলিত হয় কর্পূর ধূপ, পাঠ হয় ব্রত কথা
জন্মেজয়ের সর্পযজ্ঞ আখ্যান, রাত্রি যাপন ।  


বহুস্থানে বহুজনমানবে প্রচলিত এই তিথির ব্রত-কাহন  
সর্বজনে হোক নাগপঞ্চমীর মহাস্তুতিতে শান্তি স্থাপন ।।