এক মৃত্যুঞ্জয়ী এসেছিল এই ধরাধামে
উদ্ভাসিত পঁচিশে বৈশাখে
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি হয়েছিল অলংকৃত  
পিতা দেবেন্দ্র আর মাতা সারদার চতুর্দশ শাখে ।


তাঁরই হাত ধরে বাঙালী জাতি জ্বালিয়েছিল
সর্ব-সাহিত্যের অসংখ্য প্রদীপের আলো
সারা বিশ্বের দরবারে বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডার
হয়েছিল সন্মানিত, রত্ন-সম্ভারে অফুরন্ত ভালো ।


একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সঙ্গীত-স্রষ্টা
অপরদিকে উপন্যাসিক, প্রবন্ধকার, দার্শনিক
ভেসে ওঠে চির রবির আত্মশক্তির প্রতিচ্ছবি
সাহিত্যের প্রতিটি ধাপে সবই অবিশ্বাস্য কাল্পনিক ।


ঘাসের আগায় শিশির কণার চিরনতুন আমেজ
মাটির সাথে একাত্ম হয়ে প্রাণ পায় শক্তি
জলে স্থলে পর্বতশিখরে শান্তিনিকেতনে
সে খুঁজে পায় আত্মার শান্তি মনের মুক্তি ।


সোনার তরী বেয়ে  আঁখিপটে
ভানুসিংহ ছদ্মনাম খ্যাত হয়েছিল চির আনন্দের অন্তর্যামী
সারা বিশ্ব রবিতে হয়েছিল মুগ্ধ
গীতাঞ্জলীর ঝংকারে নোবেল প্রাপ্তি এক যুগান্তকারী প্রণামী ।


পাথরের বুকে ভালোবাসা
ফোটে সেথা রক্ত-করবীর লাল আভা
গীতবিতানের সুরে বাজে চারিপাশে
সঞ্চয়িতার কাব্য-গাঁথায় জাগে বিচ্ছুরিত শোভা ।


ব্রিটিশদের গুলি-বর্ষণে কেঁপেছিল
স্বাধীনতা আন্দোলনের পটভূমি জালিয়ানওয়ালাবাগ
এক লহমায় ত্যাগ করেছিল সে নাইট পদ
বৃহৎ হৃদয়ে জানিয়েছিল সেদিন তাঁর বীতরাগ ।


আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা একত্রে বাঁধে জয়গান
দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীতে মুখর হল প্রাণ
বিশ্ব সাহিত্যের মঙ্গলদীপ তাঁহার স্তুতিগানে
বিশ্ব-বাঙালীর প্রশান্তি-ছবি জেগে ওঠে সুখে-দুখে জীবনে-মরণে ।।
                      ***
(২৫শে বৈশাখে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে আমার শ্রদ্ধার্ঘ)