চৈত্র-সংক্রান্তির অবসানে আসে নতুন ভোর
আনন্দ-উদ্ভাসনে খোলে সব দোর,  
সকাল থেকে মন্দিরে  নতুন খাতা উদ্বোধনের সারি
লক্ষী-গনেশ পুজে ঘরে-ঘরে নর-নারী।


চৈত্র-সংক্রান্তির শেষে শুরু হয়ে যায় বাংলা নতুন সন
উচ্ছ্বাস ও শুভকামনায় ভরিয়ে তোলে সবার মন,
স্নান সেরে নতুন বস্ত্র  সবে করে এদিন পরিধান  
গুরুজনদের প্রণাম, ছোটদের আশির্বাদই শুভ বিধান।  


সাজ-সজ্জা, ফুলমালা, আলপনায় নব-বর্ষ ওঠে ভরে
খাদ্যের তালিকায় যুক্ত হয় নানা মিষ্টান্ন সকল ঘরে-ঘরে,
বিকাল হলেই দোকানে-দোকানে চলে খরিদ্দারের আনাগোনা
মিষ্টির প্যাকেট আর নতুন ক্যালেন্ডার হয় হালখাতার পরিচিতি-সম্মাননা।


নতুন বছর নতুন ভাবে পাওয়ায় হয় জলসার আয়োজন
পুরানো কলহ, দ্বেষ সবকিছুর হয় বিসর্জন,
বিক্রেতা-খরিদ্দারের মাঝে সংঘটিত হয় এক মিলন-মেলা
জানান দেয় তারা, এইভাবে মিলে-মিশে কাটে যেন সারা বেলা।


আকাশে-বাতাসে মুখরিত হয় এই শুভ দিন
সবার মনে বেজে চলে হালখাতার মনোরম বিন,
সারাটি বছর থাকে সবাই এমন  সুন্দর দিনের মুগ্ধতায়
ঐক্যের বন্ধনে মিলেমিশে সার্থক হয়ে যায় শুভ লগনের অপরূপতায়।।
                                  ***