বাবা আমার ছোটবেলার অনেক কিছুই জানতো না
জানতো না ছুটির পরে তুহিন সমীরের সাথে
নদীর ধারে বেড়াতাম কিংবা টকো কুল পাড়তাম
বাবা জানতো না কীভাবে মঞ্জুশ্রীর পিছনে
জোঁকের মতো লেগে থাকতাম
অথচ মঞ্জুশ্রী নুনের ভয় দেখাতো
সমীর তুহিন বা মঞ্জুশ্রী কোনদিন বাবাকে বলেনি
শাহাদাতের সঙ্গে একদিন মারপিট করাও কথাও বলিনি , দাগ ও ব্যথা লুকিয়েছি গোপনে
মায়ের চোখ এড়াতে পারিনি
অনেক কিছুতেই ধরা পড়তাম
তবু মা কোনদিন বাবাকে বলেনি
মা জানতো বাবা যে পরিমাণে রাগী
বললে আমার --- মাকেই কাঁদতে হতো বেশি


পুতুলের চেয়ে রমার দিকেই আমার ঝোঁক ছিল বেশি
সুযোগ পেলেই দুজনের সাথে গল্প করতাম
তবে রমার সাথে কথা হতো সঙ্গোপনে
মাকে বলেছিলাম ওকে মাধ্যাকর্ষণের সূত্র শেখাতে
যাই ওদের বাড়িতে
আসলে ওর ফ্রকপরা ঢেউখেলানো শরীর দেখলেই
তুফান উঠতো আমার মনে
ওর হাসিতে ছিল বুনো ফুলের সুরভি
কোনদিন আকন্দ ফুল তুলে
কোনদিন ভাঁটফুল তুলে ওর হাতে দিতাম
বর্ষাকালে একদিন আমাকে বকুল ফুলের মালা দিয়েছিল
মনে মনে ওকে নিয়ে পালতোলা নৌকায় ভাসতাম


পনের থেকে আঠারোর সেসব সোনালী দিন
রূপালি জরির মোড়কে বাঁধা
আমৃত্যু সে-মোড়ক আমার কাছে থাকবে ।