হাঁটু মুড়ে বসে লাল গোলাপে
    তোমাকে স্বাগত করেছিলাম,
          তখন আমি বাস করি পাহাড় শৃঙ্গে
               টগবগিয়ে চলা আর বলার সময়।
প্রমিতার কাছে অনন্যোপায়,
    তোমাকে দোসর করে
          সতীনের ঈর্ষাকে ডেকে আনা।
এখন কেউ ঈর্ষা করলে, আমারই হাঁসি পায়।


তারপর কাব্য আঙ্গিনায়
      তোমার ভরা যৌবনের ইতিবৃত্তে
           সমস্ত হাঁসি-কান্না-বেদনার উপহাস।
                  আর আমি ছায়া-সঙ্গী!
এই দুপুরে স্বচ্ছ-দৃষ্টি চারধারে,
      এক দিকে তুমি, অন্য দিকে সহধর্মিনী!
          একে অন্যের সন্দেহ থেকে
                নিজেকে বাঁচানো, দ্বিচারিতা নয়কি?
                    তাই সমতলে নেমে আসা।
এখানে
সমুদ্র তীরে আলবেলা সময়, নষ্ঠামি অনেক!
     সমুদ্র-উছলে পড়া ঢেউ জানে
         আর জানে সাদা-বালু বেলা-ভূমি ঝাউবন
              ঝিনুকের ছেড়ে যাওয়া খোল
                  লজ্জ্বায় গর্তে ঢুকে পড়া কাঁকড়া
                      আর শাঁখের সান্ধ-ধ্বনি।


নদীর বুকে বাঁকের তটে পিকনিক
    তার চেতানো স্বচ্ছতায় নির্মল-স্নান,
      পেছনে আলো-ছায়ার জঙ্গল
          আনন্দ ও ভয়ের অবিমিশ্র শিহরণ!
চড়ুইভাতি এখন আর হয়না,
     চড়ুইভাতি হয়েছিল
          এক সময়িক বান্ধবীর সাথে
                ওদের বাড়ির উঠোনে, উনুনে
                      সম্পূর্ন তার গিন্নীপনায়।
                    আমাদের তখন সাত বা আট!
তারপর তাদের বাড়ীতে আর যাওয়া হয়নি।


আমি যখন গঙ্গার ধারে উঠে আসব,
                        আমার শেষ আশ্রয়ে
তখনই বিচ্ছেদ হবে, ছেড়ে যেতে হয় তাই।