- :উৎসর্গ:-
             প্রাক্তন প্রেমিকার জন্য উৎসর্গ করলাম


ভালোবাসা কি এখনো আমার কাছে আবছা ধোঁয়াশা ।একবার ভালোবেসে প্রত্যাক্ষান আর একবার না ভালোবেসেও ভালোবাসা পাওয়া ..তারপর একদিন দুটোই হঠাৎ সকালের ভাঙা স্বপ্নের মতো হারিয়ে গেল ।তবুও ভালোবাসি ..কিন্তু আজ
ভালোবাসা হয়তো নেই  ?আছে কি  ? উত্তর পাইনি ।জমতে জমতে হৃদয়টা যে হিমালয় ।
আর সে হৃদয়ের অলিন্দ নিলয়..।শিরায় শিরায় লাল নদীতে হঠাৎ জোয়ার পুরোনো ক্যানভাসটা যখন মনের এই রুপলি পর্দায় চলমান ।তাই হৃদয়ের ছটা তারে বেজে ওঠে রবি ঠাকুরের সেই গানটা “


ভালোবেসে সখি
**********


"ভালোবেসে সখি ...নৃভৃতে যতনে
আমার নামটি লিখো তোমার মনের মন্দিরে "
লা লা লা লা লা ....হুম হুম .........
মিউজিক সিস্টেমটা ওপেন ছিল
কানে হেডফোন ...
ভালো যদি বাসো নাহ্ নাম লেখার প্রয়োজন নেই
ফাকা ফ্রেম আর অকেজো হাতঘড়িতে
সময় কাটে ..চায়ের কাপে নুইয়ে পড়া বিস্কুটে
জমুক প্রেম ..ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্ট
একটু অন্য রকম সেটা তো জানো তুমি ।
গল্পটা গভীর না হোক ...যেন কাব্য থাকে
ইতিহাসটা থাক ...ইতির পাতায় ।
নাহ্ স্বপ্ন নিয়ে বাঁচা নয় ..
বাঁচা নিয়ে স্বপ্ন হউক এবার।




(২)




কাটাকুটি খেলেছো কোনোদিন ?
চশমা আঁটা ভাঙ্গা ফ্রেম
ভাঙ্গা আজ আয়না ....মুখ ছেড়া ছেড়া
বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছিল কথা
আজ সবকিছুর অবসান
সবটা তোলা ছেড়া ডাইরীর পাতায় ।
টুপটাপ বৃষ্টিতে ভিজতে আজ ভালোলাগে
গল্পের ভাষা বদলে ..ছায়াপথে
অপকেন্দ্র বলে দিগভ্রম ।
ব্ল্যাকহোলে নিমেষে হারানো আলোকরশ্মীতে
এক্সপ্লোরেশন হয়নি শেষ বার ।
তবুও বলেছিলাম ভালোবাসি
একবার ভালোবাসতে দাও
নতুন করে ...।।
তখন অন্য পথের পথিক ছিলে তুমি ।
ঠিক আজ ..যেরকম আমার ভিতরটা ।।



  (৩)



শেষ ...ঠিক ভাষাহীন বিচ্ছুরণে
গল্পের শেষ পর্ব ।
কবিতা গুলি আজো জীবন্ত
চির যখন ধরেছিল ...তখন প্যারামিটার গুলি
আবেশিত ..অদৃশ্য ভাইরাসের মিউটেশনে
দিন গুলি কাটছিল বেশ
তারপর .......।
ক্রসলিংকিং জিনের নতুন ধর্মের আবির্ভাব
কে জানত বলো ?
ইলেকট্রন মাইক্রোসকোবেও মিসটেক হবে ।
ভালোবাসার স্মৃতিটুকু সৌধ আজ
স্লাইডের এক কোনে পরে থাকা
রেড ব্লাড করপাসল ..
হ্যাঁ এতেই তোমার চোখ আঁকবো আমি
হয়তো এতেই যজ্ঞের ঘৃতাহুতিতে
হৃদয়ের শেষ শ্রাদ্ধে রইবে তোমার নিমন্ত্রন
"আমি  আজো ভালো আছি তোমায় ছাড়া "।




  (৪)




লাস্ট কবে ইলেকট্রোমেগনেটিক তরঙ্গে
তোমার কথা গুলি আমার ডিভাইসে
সর্বোচ্চ পিকে ....দিয়েছিল স্লোপ ?
কবে শব্দতরঙ্গে মিশেছিল শব্দমালা ?
হ্যাঁ ঠিক ! আমি ইনহিবিটর
যেহেতু এনজাইমেটিক রিএক্সশন রেটে
টেম্পেরেচারটা হাই ছিল ।
নাহ্ আর নয় ডিভাইসের পাওয়ার ওফ
সেটেলাইটের রেডিয়েশনের সীমানার বাইরে
নিউরোট্রান্সমিটার সিগন্যাল পাঠাইনি
পোস্টসাইন্যাপটিক নিইরোনে
তাই অ্যাড্রিনালিন ক্ষরিত হয়নি আর
যতটুকু বিশ্বাস ছিল ..সবটা দি এন্ড ।


   (৫)


        


"কেন যে চোখ রাঙাস ..?
কেন যে ওভাবে তাকাস ?
এভাবে লুকোনো থাক সব অভিমান ।"
ঝগড়া করেই কাটে দিন ..
তবুও দিন গুলো রঙিন
কাটছে বেশ ..তবুও আবেশ
আমি যে কলম্বাস ..দিক যে হারাই
শৈবাল সাগরেও তোকে খুঁজে যে পাই ।
তবুও লুকিয়ে ..হিমবাতাস যে বয়  
ভালোবাসা ঠিক ....রয়






      (৬)


      
শব্দরা তো রোজ হারাচ্ছে একটু একটু করে
রোজ তো এক একটা গানে
নতুন সুর ...বদলে যাওয়া আর বদলে ফেলার
প্রবল চেষ্টা নিজেকে ..
কই পেরেছো বলো ?
না পারিনি ..অতীতে গিয়ে
বদলে ফেলতে ইতিহাস ।
জাঙ্ক ফাইলে আজ মিউটিশনে ভাইরাস ।
হঠাৎ মাঝ রাতে ঘুম ভাঙ্গে
চমকে উঠি তখন
"একি তুমি ?
সত্যিই কি ডাকছো আবার
তোমার দেওয়া ডাক নামে ?"


(৭)



কি গো শুনতে পেলে কি
আয়না ভাঙ্গার শব্দ ?
দুধ সাদা পর্দা দরজার খিলে গেছে এঁটে।
ব্যালকনিতে জমেছে কিছুটা বৃষ্টির জল।
আকাশও ভাঙ্গছে ঠিক আমার মতো ।
ওই দূরে ,ঠিক ওই বিশাল জমাট বাঁধা পাহাড়ের
ওপাসটায় ..কে যেন রামধনু এঁকেছিল ।
মনে আছে তোমার ...?
একটুকুও না ..?
দরজায় পড়লো খিল ..।।
জানোতো অবহেলা গুলো দূরত্ব বাড়ায়
আর বাড়তে বাড়তে ...জাস্ট অনেকটা দূর ।



(৮)


আরো একটু অচেনা হতে চাই
*****************

ঠিক কতোটা চেনো আমায় ?
কতোটা রং আছে তোমার রংতুলিতে ?
চেনা অচেনায় বাস্তবতাটা ফোটে ?
আমার ভিতরের অন্ধকারটা কিন্তু
পুড়তে পুড়তে ছাই রঙা ব্ল্যাক ক্যানভাস ।
মনোরেখো ভালোবাসতে আমিও জানি  
সহজ সরল পদ্ধতিতেই ঐকিক নিয়মে
হিসাবটা করে নিতে কিন্তু ভুলি না ।
অনেকটা পথতো হেটেছি একসাথে
ফাস্ট ইয়ার থেকে থার্ড ইয়ার ।
কম কি ? কিছু কথা আমি জানি কিছু কথা তুমিও
জানো ..কিছু কথা তবুও অজানা ।
কিছুটা তো সিক্রেট থাকেই সবার ।
তবুও অনেকটা চিনি ,অনেকটাই জানো তুমিও।
তবুও ধীরে ধীরে  অনেকটাই অচেনা
হয়ে যাচ্ছি রোজ তোমার থেকে ।
দরজায় পড়েছে খিল ।
কেন জানো ?
চেনা মুহূর্ত গুলোকে একটা গ্রাফে ড্র করলে
ঠিক পেয়ে যাবে একটা সচ্ছ ,সরল ,অথচ
জটিল নতি ...ভালোবাসার সমীকরনের   সঠিক প্রদর্শন ।।



(৯)



    
ভাঙ্গা চশমার ফ্রেম ..
আড়সি টাঙ্গানো পর্দার অন্তরাল
স্বপ্ন হলেও যদি সত্যি হতো
বাস্তবতায় আইসোমেরিজম
তুমিও করছো অভিনয় ,আমিও করছি
ভালো থাকতে সবাই যে চায় ।
টাইম মেশিনে একরাশ অতীতে ভর করে
কয়েক হাজার বছর আগে
কাইন বাজায় বাঁসুরী ....রাধাও ব্যাকুল সেই সুরে।
প্রেমটা কি ঠিক সেরকমই আছে বর্তমানে ?
লাস্ট মিস ...কল হিস্টোরিতে আর নেই ।
সাইন্যাপসে ব্লকিং ট্রান্সমিশনে তোমার
সিগন্যাল ...তবুও মেমরীটা ফরমেট হয়নি ।




(১০)


ওয়ান সাইট লাভ
*************

    


নদী ...! বইছো ..কোথায় বলো ?
কোন ঠিকানায় ..? মরুপথে ..নাকি
মেরুদেশে ..অশ্রু যে বাষ্পীভূত হয়
...কতটা গভীরতায় জমটা বেঁধেছিল বলো ?
একি নদী... তোমার সাগরেও হীমশৈল !
একটু একটু করে রোজ রং তুলিতে আমি
স্বপ্ন আঁকি ..টাইটানিকের
রোজ যে রং চুরি করি রামধনু থেকে
এক মুঠো তারাও নি সঙ্গে ছায়াপথে
চলতে চলতে ...আমার আকাশে ছড়িয়ে দেব বলে
জানো আমার আকাশটায় একটা শুক তারা আছে
অন্ধকার কিন্তু তাতে যায় না
চাঁদ নেই তো ..সে তো অন্য আকাশে ওঠে ।
তাই তারা গুলো ছড়িয়ে দেই
যদি অমবস্যায় আকাশটা একটু হলেও আলোকিত হয় ,
নাহ্ আমার আকাশটা তবুও অন্ধকারি থাকে ।
নদী ..একি পথ হারিয়েছো তুমিও
মরু পথে মরিচীকাই তো সামনে আরো সামনে
নিয়ে যায় ..পথ হারাই ..তবে
এখন হারানো পথ থেকেই একটা নতুন পথ ঠিক খুঁজে পাই ..
কষ্ট আর হয় না জানো  পাইনি বলে .........।।



(১১)




ঠিক কিরকম ভাবে ভালোবাসলে
সেটা ভালোবাসা হয় গো ?
ব্যাথাহীন ভালোবাসা ...দেবদাস নয় কিন্তু।
ঠিক কতটা রংএ ব্ল্যাঙ্ক ক্যানভাসটাও
একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প আঁকে ?
এই যে ধরো ..তোমায় বিরক্ত করি ভাট বকে
গাল টিপে দি ..কখনো বা মাথায় ঠোকা মারি
জেনেও ভুল করি, পেরেও কাজটা করি না
তুমি রেগে যাও ...হ্যাবি লাগে কিন্তু তখন তোমায়
ওই পটল চেরা চোখে উষ্ণ ভালোলাগা উপচে পড়ে।
ওটাই যে ভালো লাগে আমার ।
একটু গভীরে ..আরো একটু গভীরে কখনো তোমার
নদী বয় ....গতিপথে ..বালুচর ?
কখনো জেগে কি ওঠে না ?
আমার ভিতর তো মাঝে মাঝে পাহাড়ের বুক চিড়ে
নীলনদ বয় ...সাহারার বুকে ।
গভীরে আরো গভীরে প্রবেশ
ভিতরের লুকানো অচেনা আমি বলে
"ভালো যে এভাবেই বাসি আমি"
ধরো যদি গতিপথ বদলে ..ফেলে নীলনদ
যদি ..সাহারার বুকে মরিচীকায় পথ হারায়
হয়তো সেদিন ভালোবাসতেও ভুলে যাবো আমি
আরো কয়েকটা ভঙ্গিল পর্বতে ভরে যাবে
               আমার  ঢেটিস সেদিন ।।
                



(১২)


    
কতটা পথ বাকি ?
আর কতটা গভীরতায় ম্যাগনিটক জোন?
শেষ কবে বারমুন্ডা ট্রায়েঙ্গেলে হলো জাহাজ ডুবি ?
মনে পড়ে সেবারও হাইড্রোজেন বোমার
এক্সপোলেরেশনেও কি শুধু হিরোসিমা নাগাসাকি
জ্বলেছিল নাকি পৃথ্বীর বুকে বুলেটের দাগ  ?
তারপর ...রক্ত ঝড়ছে ..আরো ঝড়বে ।
তবুও ভালোবাসা কিন্তু হারায়নি
তবুও নদী ছুটে চলে সমুদ্রে
সূর্য্যটা ঠিক মেঘ সরিয়ে উঁকি দেয়
অমাবস্যা চলে গেলেই চাঁদও আকাশে আসে
ঘরে চাল নেই ,খিদেয় ছেলে কাঁদে
তবুও মা কে সে ভালোবাসে ।
ভালো যে তাকে বাসতেই হবে
তাইতো ফুল ফোটে,প্রজাপতি উড়ে
দূর্বা ঘাসের মাথায় শিশির জমে ।
ঠিক আমিও ভালোবাসি আর একটু রং নি
ছবি আঁকবো বলে ...।।




(১৩)


মনে পড়ছে তোমাকেই
*************




রক্তে মিশছে নিকোটিন..
চায়ের কাপে নুইয়ে পড়া বিস্কুটে কাটছে বেশ দিন
বৃষ্টি ভেজা চশমায় ..ঝাঁপসা অন্ধকার
ল্যাবের ওই ট্রাইটেশনে ..মাপছি তোমার স্লোপ
তোমার দরজায় ..জানি দিয়েছো খিল
আর এদিকে দিগভ্রান্ত . ..উড়োচিঠি ।
বলো না কতটা দূর সেই শব্দমালা
সেই ..বলতে আমায় "খুব ভালোবাসি "?
সময়টা ..একপা দুপা  ..করে সামনে হাঁটে
আকাশে মেঘও জমে ,বৃষ্টিও হয়
শুষ্ক দূ্র্বা ঘাস সতেজও হয় ..
ভূমিকম্পে যদি পৃথ্বী চিড়ে ভঙ্গিল পর্বতের আবির্ভাবে .
..কি নদী বইতে পারে না বলো ?
গঙ্গোত্রী ...তুমিও হিমালয় চিড়ে সমুদ্র টানে কেন ?
ভালোবাসলে নাকি ক্ষমাও করা যায় ..
তবে ভালোবাসার কি মানে হয় বলো ?
বাস্তবে ওই চশমার আড়ালে যতোই ভাবি
বন্ধ থাকুক ডাইরি খাতা
দেখি চোখ বন্ধ করলেই উলটে ফেলি
তোমার আমার কেমেস্ট্রির কয়েকটা পাতা ।।




    (১৪)

          



এবং আমি আবার নস্টালজিয়া
ইতিহাসের পাতা ঘেটে হরপ্পায়
লোপামুদ্রার মূর্তিতে আবার অলংকরন।
একটা সমূদ্র ..একটা নদী..পথ হারাবার
শঙ্খচিলে বেশে তোমার আকাশ পাড়ি
সাদা পালে ..ধানজমি আল ভেঙ্গে
স্মৃতি বোঝাই ডুবন্ত জাহাজের উদ্ধার ।
কোনো এক কাক ভোরে ফিরে আসবার
অপেক্ষাটা থেকে গেছে ..।
ফিরে আসোনি ...আসার তো কথা ছিল না
কোনোদিন ..যে যায় তাকে যে
যেতে দিতে হয় ।
অতীত শুধুই অতীত ,বর্তমানটা
তাই বাঁচতে শেখায় বেশী।
ভবিষ্যৎটা ..স্বপ্নের রাজপ্রসাদ।
তবুও কি তোমায় ভালোবাসি  ?
প্রশ্নের উত্তর আজো পাইনি ।
ইতিহাসটা তাই রহস্যময় আমার কাছে ।।


  (১৫)


      


বৃষ্টি ভেজা পায়ে পায়ে ,জলকাঁদা রাস্তায়
ঘুমহীন রাতে লেগেছে চাঁদহীন  জোনাক
সাদা খাতার পাতায় হার্টএর ইসিজি দেয়
হাইপারটেনশনের কার্ভ ....।
আমি চলি এক্স এক্সিস হয়ে
তুমি হাটো ওয়াই এক্সিস  ধরে ।
তফাৎ মাপছে থার্মোমিটার ।
হঠাৎ কেন উষ্ণ হলো মৃত প্রেমের শরীর
হলো কেন জ্বর একশো চার ?
শূন্য থেকে শুরু আর শূন্যতেই শেষ
চমশা আটা ঝাঁপসা অন্ধকারে
ল্যাম্পপোস্টের আলো জ্বলেনি তো আর
ভেঙ্গে যায় স্বপ্ন  ,ভেঙ্গে যাবেই ভালোবাসার তাসের দেশ।
মৃত আত্মারা কি তবুও জাগে ?
ক্ষত ....বিক্ষত দেহে রক্ত ঝরছে কত
প্রেম নামে ইমোশনাল অ্যাটাক।
ভালোবেসে ভুল করি ,তবুও ভালোবাসি
যন্ত্রনারা আজ হৃদয়ের গভীরে না হয় বন্দি থাক।।


“ভালোবাসা পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ,
ভালো তো কত জনকেই লাগে ,ভালোবাসা কি হয় ? “


কিছু দিনের মধ্যেই আসিতেছে “পূজোর ক্যানভাস “ও “শেষ রক্ত বিন্দু”


যোগাযোগ: হৃদয়পুর ,বারাসাত,
কলকাতা-৭০০১২৭
ফোন নং-7365086640