আমি প্রত্যহ বিউগলের ধ্বনি শুনি,
প্রত্যুষে শুনি, সন্ধ্যার প্রাক্কালে শুনি,
বিউগল বাজায় কে, সেটা দেখিনি,
প্রত্যহ তবু আমি সেই ধ্বনি শুনি।


চলে যাওয়া অতীত বিউগল শোনায়,
অন্তর্হিত সুহৃদগণ বিউগল শোনায়,
জানিনা তারা আজ কে বা কোথায়
অতীত নিত্য তবু বিউগল শোনায়।


আমরা যারা আছি, খুবই হাসিখুশী,
জগত সংসার নিয়ে সারা দিবানিশি,
আমরা তাদের কথা ক’বারই বা ভাবি,
যারা কাল ছিলো, আজ স্মৃতি মায়াবী।  


প্রতিদিন আগের মত দিন চলে যায়,
জানিনা কারা আজও বিউগল বাজায়,
আগের মতই বাজায় সকাল সন্ধ্যায়,
পতাকা ওঠায় আর পতাকা নামায়।


বন্ধুরা আসো তবে আজ মোরা গাই,
বিউগল বাজুক কিংবা বাজুক সানাই,
পুরনো সেই দিনের কথার এ গানখানি  
'আউল্ড ল্যাং সাইন' এর প্রতিধ্বনি।
  
  
পাদটীকাঃ ১৭৮৮ সালে Robert Burns রচিত "Auld Lang Syne" নামের স্কটিশ কবিতাটি পৃথিবীর অনেক দেশেই বিখ্যাত, বিশেষ করে ইংরেজী ভাষা জানা দেশগুলোতে। এটা যদিও এখন প্রথাগতভাবে বিদায়ের গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে, এটা মূলতঃ রচিত হয়েছিলো পুরনো বন্ধুত্বকে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানিয়ে উদযাপন (সেলিব্রেট) করার জন্য। গানটার হদয়গ্রাহী সুর এখন কোন শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠান এমনকি অন্তেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানেও বাজানো হয়ে থাকে। স্কটিশ থেকে ইংরেজীতে  অনুবাদ করলে সাদামাটাভাবে "Auld Lang Syne"  এর মানে দাঁড়ায় “পুরনো দিনের কথা”, বা হারানো দিনের তরে”। (উইকিপিডিয়া থেকে সংগৃহীত)।  
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটির সুর শুনে রচনা করেছিলেন তার বিখ্যাত গান, "পুরানো সেই দিনের কথা"। মূল স্কটিশ গানটির সুর ও কথার জন্য পাঠকগণ এখানে যেতে পারেনঃ


https://www.youtube.com/watch?v=acxnmaVTlZA


আশাকরি পুরনো এই গানটি আপনারা সবাই উপভোগ করবেনঃ For Auld Lang Syne!


ঢাকা
১২ অক্টোবর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।