প্রতিদিন ভোরে উঠেই ভাবি,  
আজ একটা কবিতা লিখিনা কেন?
এখন বর্ষাকাল; কবিতা লেখার জন্য বসন্ত নয়,
চিরায়ত বাঙলার শ্রাবন মেঘের বর্ষাই প্রকৃষ্ট সময়।


ভোরের আকাশে মেঘের ঘনঘটা দেখলেই  
মনটা খুশী হয়ে ওঠে।
একটা কবিতা লেখার পণ করে ভাবতে বসি,  
মেঘের মত সব ভাবনা সাজিয়ে লিখতে বসি।


দু’চারটে চরণ লিখতে না লিখতেই--
বুকের ধুকপুকানি বেড়ে যায়। মনে হতে থাকে,
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতাটি বোধহয় এক্ষুনি
আমারই এ কী বোর্ড থেকেই জন্ম নিতে যাচ্ছে!  


তড়তড়িয়ে কিছু একটা লিখেই,
একবার পড়ি, বারবার পড়ি, পড়তেই থাকি।  
আমার কাছে সন্তুষ্টির শেষ বলে কিছু নেই, তাই
কাটাকুটি শুরু করি, করতে থাকি, করতেই থাকি।


অবশেষে......
একসময় ক্ষান্ত দিয়ে বসে থাকি।
ক্লান্ত মননে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে--
কী হতো, এত ভাল একটা কবিতা লেখার চেষ্টা না করে
সাধারণ কিছু কথা দিয়েই একটা কথার মালা বুনে গেলে?  
সহজ করে বলা--
কিছু সহজ সরল কথাই তো কবিতা হয়ে যায়।  
এমন কথাই তো আমি অন্যের কবিতায় খুঁজি!


ঢাকা
২৬ জুলাই ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।