অদম্য আঠারোর কাছে নতশির হয়ে গেছে আজ  
সব ভ্রষ্ট বীরপুঙ্গবের দল;
সংসদের মেঝেতে দাঁড়িয়ে কথার তুবড়ি ফোটানো
ঊনসত্তরের সেই ছাত্রনেতা  
ভুলেই গিয়েছিলেন যিনি আঠারোর উদ্দামতার কথা,
তিনি আজ থেমে গেলেন, ফিরে গেলেন গাড়ী ঘুরিয়ে।  


দিয়া খানম মীম আর আব্দুল করিম রাজীব
বাসের চাকার নীচে পিষ্ট হয়ে, সতীর্থদের হাতে
দিয়ে গেল “রাষ্ট্র মেরামতের” কার্য্যাদেশ। তাদের বন্ধুরা
রাস্তায় নেমে এসে শুরু করে দিল সে মেরামতের কাজ।
থমকে গেলো যানবাহন। বৈধরা ছাড় পেলো, অবৈধরা…
কিছুটা ক্রোধের ঝাঁঝ নিয়ে শরমে শরমে পালিয়ে গেলো।  


স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে হয়তো এ আঠার সালটা
আঠারো বছরের উদ্দামতার প্রতীক হিসেবে স্থান পাবে।
তারুণ্য এখন রাজপথের ঘোরসওয়ার। কেশর উড়িয়ে  
টগবগিয়ে ঘোরা ছুটিয়ে তারা ‘রাষ্ট্র মেরামতের’ কাজ করছে।


ডিআইজি হাবীব, মন্ত্রী আনোয়ার, ধরা পড়েছে তাদের হাতে;
নির্লজ্জ নাটের গুরু, যিনি নৌপথের মন্ত্রী হয়েও
জনপথের যত তান্ডবের কলকাঠি নাড়ান,
বাধ্য হয়েছেন তিনি দিয়া খানমের বাড়ীতে এসে ক্ষমা চাইতে।  


আঠারোর তরুণেরা একে একে এদেরকে ধরে দেখিয়ে দিচ্ছে-
রাষ্ট্রীয় বিশৃঙ্খলা আর অরাজকতা আজ কতটা বিস্তৃত।
বিক্ষুব্ধ দেশবাসী তা শুধু নির্বাক হয়ে দেখছে,
আর উত্তরণের পথ খুঁজছে! কেউ আছেন কি, পথ দেখাবার?


অদম্য আঠারো, আমি তোমার হাতেই আজ-
আমার আশা ভরসা আর বিশ্বাসের পতাকাটা তুলে দিতে চাই।  
দেশবাসীর আস্থার পতাকাটা তুমি পতপত করে বাতাসে ওড়াও,
নিয়ম নীতির হাতুড়ি পিটিয়ে তুমি রাষ্ট্রের খোলনলচা বদলে দাও!


ঢাকা
০২ আগস্ট ২০১৮
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।