বনের মাঝে কত রঙের ফুল ফোটে,
নীল-বেগুনি, লাল-সাদা আর হলদেটে।
রঙ্গিন ফুলের রঙ্গিন শোভার মাঝখানে,
কোনটা হাসে, কোনটা কাঁদে কে জানে?


প্রজাপতি, ফড়িং এর দল সব ছোটে,
রঙের নেশায়, মধুর আশায়, তা বটে।
পাখনা মেলে হাওয়ায় ভেসে যায় উড়ে,
ফুলের মধু খেয়ে বেড়ায় ঘুরে ঘুরে।


পুষ্পরেনু জড়িয়ে তাদের হাল্কা গায়ে,
বয়ে নিয়ে পাখায় পাখায়, পায়ে পায়ে।
উড়ে বেড়ায় কাছে কিংবা বহু দুরে,
দেয় ছড়িয়ে বন-বাঁদারে বনান্তরে।


রঙ বেরঙের এমনি একটি ফুলবনে,
নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে ছিল একটি কোণে,
হলদে রঙের নিষ্প্রভ এক ছোট্ট ফুল,
চিনতে তারে হয়নি কবির মোটেও ভুল।


সবাই যখন হাসছিলো আর খেলছিলো,
দৃষ্টিটা তার আকাশ পানে স্থির ছিল।
উদাস কবির ঘোলা চোখের চেয়েও উদাস,
ছিলোনাতো দৃষ্টিতে তার খুশীর আভাস।


যায়নি কোন প্রজাপতি তার কাছে,
কেউ বুঝেনি এই নিয়ে তার ক্ষোভ আছে।
তার মনের ব্যথা বুঝতে পেরে এক কবি,
কাছে গিয়ে তুলে নিলো তার ছবি।


সেই ছবিটি অনেকেরই মনের মাঝে,
ভেসে ওঠে, নির্জনতায় সকাল সাঁঝে।
প্রতীক হয়ে ওঠে তাদের, একা যারা,
ভীড় ভাট্টার মাঝেও একা, বাক্যহারা।


পাদটীকাঃ  ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে নেপাল ভ্রমনে গিয়ে এরকম একটি নিঃসঙ্গ ফুল দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম। আজ ফেইসবুকের ছবিতে কিছু প্রাণবন্ত ফুলের সমারোহে ঠিক ও রকম একটি নিঃসঙ্গ ফুলকে দেখে মনে পড়লো সে কথা।


ঢাকা
২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।