এক শালিখে দুঃখ আসে, দুই শালিকে হর্ষ,
কে দিয়েছে এমন বিধান কে জানে সে রহস্য।
তিন শালিখে পত্র আসে, উদোম কিম্বা খামে,
চার শালিখে আসে কুটুম, সবাই কি তা মানে?


ছোটবেলায় বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে,
শালিখ দেখে ঠিক করতাম, কি আছে মোর ঘটে।
ভয় পেতামনা এক শালিখে, জানতাম মনে মনে,
জোড়াটি তার পাবোই খুঁজে, ডানে কিংবা বামে।


পাখীরাতো মানুষ নয়, তারা হয়না সঙ্গীহীন,
জীবন তাদের মায়ায় ভরা, মমতায় অসীম।
নিকাহনামায় সই না করেও, বাঁধন তাদের অটুট,
উড়ে বেড়ায়, ঘুরে বেড়ায়, নেই বুদ্ধি কূট।


তাই এক শালিখে দুঃখ আসার ভয় ছিলনা কোন,
তার জোড়াটাকে পাবই খুঁজে, জানতাম আমি যেন।
জোড়া শালিখের ঘুরা উড়া দেখতাম উল্লাসে,
আর ভাবতাম, এবার যেন কি সুখ-বারতা আসে!


ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়।
সত্যিই কি এমন, সবসময় হয়?
থ্রী ফর লেটার্স, ফোর ফর গেস্ট,
চীয়ার্স, চীয়ার্স, ফরগেট দা রেস্ট।


পাদটীকাঃ আজ সকাল থেকেই জানালার ওপাশে দুটো শালিকের আনাগোনা দেখছিলাম। মনে পরে যাচ্ছিল ছোটবেলার সেই "ওয়ান ফর সরো, টু ফর জয়" এর কথা। সেটার স্মরণেই এ লেখাটা।


ঢাকা
০৯ মার্চ ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।