তার যত কথা আছে বলার, বলবে আবার কাকে?
কথার ঝাঁপি খুলে বসে, নানান কাজের ফাঁকে।
নিজের কথা, পরের কথা, শোনা কথা যত,
ফুলঝুরি সে চালিয়ে যায়, কথার অবিরত।


কোন ভাবীটা হচ্ছে মোটা, খেয়াল করেনা ওয়েটের,
জিম করেনা, ধার ধারেনা, ডায়েটিশিয়ানের নোটের।
কার টেলিফোন যখন তখন ব্যস্ত হয়ে যায়,
খোশ মেজাজে আলাপ করে সকাল ও সন্ধ্যায়।


বান্ধবী তার কাটছে সাঁতার, গল্ফ ক্লাবে গিয়ে,
খাচ্ছে খাবার, লাঞ্চ ও ডিনার গোটা পরিবার নিয়ে।
কার ছেলেমেয়ের বিয়ে কখন, কার যে হবে নাতি,
এক টেলিফোন এলেই তখন জেনে যায় রাতারাতি।


বাহিরে দেখাই সুবোধ শ্রোতা, ভেতরে উসখুশ,
বুঝতে পেরে জিজ্ঞেস করে, আছে কি আর হুঁস?
সোনার বাজার হচ্ছে তেজী, রাখি কি তার খোঁজ,
ছেলের বিয়ের ব্যয় মেটানোর হিসেব করে রোজ।


তার যত কথা ছিল বলার, সবই শোনার পর,
একটা কিছু বলতে হবে তার মন্তব্যের উপর।
কথার মাঝে মনযোগের খেই হারিয়ে ফেলি,
আধেক কথা স্মরণ থাকে, আধেক যাই ভুলি।


তবুও তার গল্প শোনার আগ্রহ ছিল মনে,
খুশী মনেই যায় সে উঠে, এই কথাটি জেনে।
একই কথা হয়তো আবার বলবে পরের দিন,
শুনবো আমি খুশী মনেই, হোক তা অর্থহীন।


ঢাকা
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।