পুরনো লিফট এর দরজা সশব্দে খুলে গেল,
তার প্রবেশ মুখে কবি নীরবে দাঁড়ানো ছিল।
ভেতরে ছিলেন এক দার্শনিক প্রতিবেশীনী,
লিফটেই হয়েছিল তাদের প্রথম চেনাচিনি।


বিকেল বেলায়ও রেলিং ধরে প্রায় দেখা হয়,
সাথে ভাবের আদান প্রদান, বেশী কিছু নয়।
মানুষটি বেকার হলেও দেখতে খুব সুন্দর,
সুরতে কবি ভাব মিশে তার বাড়ায় কদর।


কোথায় শুনেছে কবি সেই মহিলার কথা,
দর্শন শাস্ত্রে নাকি তার ভালো খুব মাথা।
তাই প্রশ্নগুলো চেপে মনে ভয়েই তাকায়,
ভেবে অস্থির, যদি বলে 'আবার জ়িগায়'!


কবিকে একলা পেয়ে দার্শনিক আগ্রাসী হন
সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, 'আছেন কেমন'?
'ভালই', কোন মতে চোখ তুলে বলেন কবি,
আড়চোখে এঁকে নেন তার পুরোটা ছবি।


পরের প্রশ্ন শুনে কবি উঠেন চমকি,
'কবি ভাব দেখানোর এত দরকার কি'?
তার হলুদ শার্টের ঠিক মাঝখানে কেন,
সবুজ একটি বোতাম হয়েছে লাগানো?


দাড়ি আর গোঁফে কেন ক্ষুর পরেনা,
দুজোড়া মোজায় কেন মিল থাকেনা?
যাক, এবার কবির পালা কিছুতো বলার,
দেখে নেন তার দিকে তাকিয়ে একবার।


বিমুঢ় হয়ে যান কবি অবাক বিস্ময়ে,
দৃষ্টি পরে যখন তার কামিজ ও সেলোয়ারে।
দেখেন, দুটোই পরেছেন তিনি উলটো করে,
কি করে সম্ভব হল, তার মাথায় না ধরে।


কামিজের ভুলটি খুব সহজেই যায় করা,
অপরটি যায়না করা, প্র্যাকটিস ছাড়া।
মৃদু স্বরে কবি তারে জিজ্ঞেস করেন,
পাজামার ফিতেটা তিনি কিভাবে বাঁধলেন?


দার্শনিক তাকিয়ে দেখেন নিজের পানে,
সেলাইগুলো ভেসে আছে, এখানে ওখানে।
কি করে করলেন তিনি পরের ভুলটা,
ভেবেই পেলেন না, করে অনেক চেষ্টা।


ঢাকা
১০ মার্চ ২০১৩
কপিরাইট সংরক্ষিত।