হে নতুন অতিথি, স্বাগতম এ সুখের সংসারে!
কিভাবে তুমি জেনেছিলে বলো তো,
আমার সংসারে কান্না কারো পছন্দ নয়!
আর তাই তুমি জন্মেই ভুলে গেলে কাঁদতে!  


মাত্র কয়েক মিনিট তুমি কাঁদতে সময় নিলে।
তাতেই আমাদের মুখের হাসি উধাও হয়েছিল।
তুমি ঠিক যেন বুঝতে পেরেছিলে, অমনি 'টোঁয়া'!  
সাথে সাথে আমাদের সবার হাসি ফিরে এলো।  


সেদিন তোমার কানে আমি আযান শুনিয়েছি।  
তোমার চোখ বন্ধ ছিল, কিন্তু তবু আমি জানি,
তুমি তা শুনেছো। তিরতির করে কাঁপা ঐ
ঠোঁট দেখে আমি বুঝে গেছি, তুমি তা শুনেছো।


তোমার গোলাপী আভা, টুকটুকে লাল ঠোঁট,
মাথায় বড় চুল, সব মিলে মনে হচ্ছিল যেন
আকাশ থেকে নেমে আসা এক লালপরী তুমি।
নিষ্পাপ, নিষ্কলুষতার মূর্ত প্রতিচ্ছবি।


আমার বাগানে  তুমি টুনটুনি হয়ে উড়ে বেড়াবে,
এ গাছ থেকে ওগাছে, এ ডাল থেকে ও ডালে।
আমি দেখে দেখে মুগ্ধ হবো। এভাবেই একদিন
বড় হয়ে তুমি নিজেই নিজের বাগান গড়ে নিবে।
  


পাদটীকাঃ আজ দুপুর ১-৪৩ মিনিটে পৃথিবীর কনিষ্ঠতম অতিথি হিসেবে আমার নাতনি আনায়া জন্ম নিলো এবং আমাদের সংসারে সুখের আবেশ ছড়িয়ে দিলো। আমি আর আমার স্ত্রী দাদা দাদী হবার গর্বে গর্বিত হলাম। জন্মেই সে কয়েক মিনিটের জন্য কাঁদতে ভুলে গিয়েছিলো, তাতে আমাদের চোখে কান্না আসবে ভেবে পরমুহূর্তেই সে আমাদের গেয়ে শোনালো পৃ্থিবীর মধুরতম সঙ্গীত, 'টোঁয়া, টোঁয়া'! আর সেই সাথে আমাদের মুখে হাসি ফিরে এলো।এই সুন্দরতম মুহূর্তের ভাবনাটুকু ধরে রাখতেই আমার আজকের এই কবিতা, আমাদের এই আদরের পরীকে স্বাগত জানিয়ে।  


ঢাকা
১৯ আগস্ট ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।