ছোট্ট থেকেই মেয়েটি ছিল ফুটফুটে,
দেখামাত্র সবাই দিত গাল টিপে।
আদর পেত সবার কাছেই খুব বেশী,
সবাই তাকে ধরেই নিত সে বিদেশী।


যতই বড় হচ্ছিল সে দিনে দিনে,
তার রঙের আভা ছড়াচ্ছিল চতুর্গুণে।
বালিকা থেকে কিশোরী সে হলো যখন,
কুনজরে সে আড়ষ্ট হতো যখন তখন।


বান্ধবীরা তার দেখতো সবাই বিলক্ষণ,
হুমরি খেয়ে ছেলেরা সব নিত পিছন।
হ্যাবলা-ক্যাবলা, স্মার্ট-ফ্লার্ট সবাই মিলে
যেন বর্তে যেত তার এতটুকু দৃষ্টি পেলে।


ছাত্র-শিক্ষক, পাড়ার যত প্রেমিক প্রবর,
ব্যাস্ত ছিল সবাই নিতে তার খবর।
আরও ছিল অনেক ছেলে কবির মতন,
চোখেচোখে করতো তারা প্রেম নিবেদন।


রূপের এই অহঙ্কারে ধীরে ধীরে,
পাচ্ছিল সে রাণীর মেজাজ অগোচরে।
সব প্রেমিকের প্রেম নিবেদন শুনে শেষে,
চুটিয়ে দিত প্রেমের পালা হেসে হেসে।


সব ছিল তার, তবু কেন কোথায় জানি,
মনে ছিল কিসের ব্যাথা একটুখানি।
এত পাওয়ার মাঝেও তবু ক্ষণে ক্ষণে
শুন্যতা এক খচখচাতো তাহার মনে।


কোন মিষ্টি প্রেমের গল্প পড়ে ভাবতো সে,
শুনবে কে তার মনের কথা উচ্ছ্বাসে।
শ্রোতার মান এর বিচার ছিল তার হাতে,
সেই বিচারে পারতোনা কেউ পার পেতে।


গল্প আমার হচ্ছে বড তা জানি,
এইখানেতেই যবনিকা দিচ্ছি টানি।
বাকী গল্প তোমরা যদি শুনতে চাও,
কবিতাটির নীচে তোমরা কমেন্ট দাও।


তবু হলপ করে বলতে আমি পারছিনা,
বাকী গল্প বলতে আমি পারবো কিনা।
মেজাজ তার থাকলে ভালো তবেই সে
অনুমতি দেবে আমায় অনায়াসে।


ঢাকা
০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৩
কপিরাইট সংরক্ষিত