শৈশবে খুব দুরন্ত ছিলে, কৈশোরে ডানপিটে,
ভেবেছিলে দুষ্টুমিতেই জীবনটা যাবে কেটে।
যৌবনেও হৈচৈ আর বন্ধুবান্ধবের ভীড়ে,
কাটিয়েছো সময় তোমার, হৈ হট্টা করে।


তারপর কিযে হলো, হঠাৎ চুপ হয়ে গেলে।
রক মিউজিক ছেড়ে দিয়ে সুরেলা গান ধরলে।
রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনতে থাকো, চোখ দুটো বুঁজে,
শুনশান নীরবতায়, তুমি শান্তি পাও খুঁজে।


মেঘের পানে দৃষ্টি রেখে, দেখো নীলাকাশ,
জোড়ায় জোড়ায় পাখি দেখে, ফেলো দীর্ঘশ্বাস।
কেউ জানেনা হঠাৎ করে, কি হলো তোমার,
কাহার তরে হৃদয় তোমার করে হাহাকার।


মন বলে যে এক কথা আছে প্রথম বুঝলে সেটা
যেদিন তোমায় দিলো চিঠি গুল-বদনি মেয়েটা।
সেদিন থেকেই তোমার চোখে ভাসছে কত কি,
রৌদ্রে দেখো জ্যোৎস্না, আবার তারায় কেতকী।


গুল-বদনির কথা ভেবে একাই তুমি হাসো,
হেথা হোথা যেথায় তাকাও, তাকেই তুমি দেখো।
মুচকি মুচকি হাসি তোমার হঠাৎ উধাও হলো,
গুল-বদনি যেদিন তাহার স্বামীর বাড়ী গেলো।


যাবার বেলায় বলে গেলো দুঃখ পেয়ো নাকো,
নতুন একটা সাথী খুঁজে ঘর সংসার পাতো।
সরল মনের সহজ কথা, তবু মনটা না মানলো,
তোমার হাতে তখন থেকেই গীটার উঠে এলো।


তখন থেকে হাঁপায় তোমার চিরবিরহী মন,
সুরের মাঝেই খুঁজে বেড়ায় শান্তি অনুক্ষণ।
গীটার হাতে বাজাও তুমি কান্নার ঝংকার,
শ্রোতা ভাবে কত মধুর সেই সুর তোমার!


ঢাকা
৩১ আগস্ট ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষিত।