তুমি হাসবে বলে,
আকাশ কিছু মেঘ পাঠিয়ে দিলো
তোমাকে ছায়াতলে রাখতে, যেন তোমার
ঠোঁটের সুষ্মিত হাসিটুকু শুকিয়ে না যায়।


তুমি হাসবে বলে,
ক্রন্দনরত ছোট্ট শিশুটিও কান্না থামালো,
উচ্ছ্বল ঝর্ণার মত তোমার হাসির শব্দটুকু
যেন তার আর্ত কান্নায় ঢাকা পড়ে না যায়!


তুমি হাসবে বলে,
মেঘমেদুর আকাশটা থামিয়ে দিলো,
ক্ষণে ক্ষণে চমকানো অশনির তীক্ষ্ণ রশ্মিছটা,  
যেন তোমার হাসির দ্যুতিটুকু হারিয়ে না যায়।


তুমি হাসবে বলে,  
একাদশীর চাঁদটাও মেঘের আড়ালে চলে গেলো।
তার সোনামাখা মুখটাকে মেঘে মেঘে ঢেকে-
যেন তোমার হাসির আভাটুকু ম্লান হয়ে না যায়।


এত কিছুর পরেও তুমি হাসলেনা,
তাই মেঘগুলো ঝরে ঝরে বৃষ্টি হয়ে এলো,
শিশুর কান্না শুরু হলো, অশনিও চমকালো,
লাজুক একাদশী চাঁদটাও একেবারে ডুবে গেলো!


আদিতমারী, লালমনিরহাট।
০৬ অক্টোবর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।