এ জীবনে আমি বহু উষ্ণতার কাছে ঋণী হয়ে আছি।
জন্মের পরে মায়ের বুকে যে উষ্ণতা পেয়েছিলাম,
তার কাছে সর্বাধিক ঋণী। পৌষের এক শেষ বিকেলে
হাঁড়কাপানো শীতে ওটাই ছিল জীবন রক্ষাকারী উষ্ণতা।


হাতের দুটো তালু আমায় চিরকাল উষ্ণতা দিয়ে গেছে।
নিজ দেহের উষ্ণতা উপলব্ধ হয় না, কিন্তু আমার হয়।
অস্থিরতার মাঝে যখন দুই হাতের তালুতে মুখটা রাখি,
মাথার কাঁঁপুনি থেমে যায়, বোঁজা চোখে দিশা খুঁজে পাই।


কিছু কিছু উষ্ণ হাসি আমাকে ঘুরে ফিরে কাছে টানে।
যেমন শিশুর নির্মল হাসি, বাঁকা চাঁদের ফোকলা হাসি।
শীতল পরিবেশে একটা হাস্যোজ্জ্বল মুখ উষ্ণতা ছড়ায়।
আমায় দেখে যারা এমন হাসে, ঋণী আমি তাদের কাছে।


উৎসাহে প্রেরণায় উষ্ণতা পাই, ভুল ভ্রান্তি্র ক্ষমায় পাই।
আমার ব্যর্থতার গ্লানি মুছে দেয় যার সহৃদয় বাণী, আর
সাফল্যের গৌরবে যে স্মিত হাসি হেসে অভিনন্দন জানায়,
তাদের সবাই আমাকে উষ্ণতার আবরণে ঢেকে রাখে।


প্রতিদিন প্রতিরাত এমনি হাজারো উষ্ণতার কাছে আমি
সমর্পিত হই। সকল ঋতুর কাছে, অমানিশা আর জ্যোৎস্নার
কাছে, দূরের নক্ষত্র আর কাছের প্রেয়সীর কাছে, স্পর্শিত
অস্পর্শিত সকল উষ্ণতার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে আছি।


ঢাকা
১৯ অক্টোবর ২০১৪
কপিরাইট সংরক্ষিত।