জনস্রোতের ঘূর্ণিপাকে
ছুটছে মানুষ দিব্যলোকে,
হচ্ছে সামিল দলে দলে,
বিলীন হতে স্রোতের ঢলে।


সাদা কালো, উঁঁচু খাটো,
নারী পুরুষ, বালক বৃদ্ধ,
সবাই যপে তোমারই নাম,
পাঠ করে দরুদ ও সালাম।


দেশ বিদেশের বিশ্বাসীগণ,
দিনরাত্রির ক্ষণ অনুক্ষণ,
চালাতে থাকেন এই ঘুর্ণন
সপ্তপাকে বেঁধে রেখে মন।


পায়ে হেঁটে ঘোরার কালে,
আকাশ যদি বারি ঢালে,
নামেও যদি পাহাড়ী ঢল,
তবু ঘোরে মুমিনের দল।


একবার এক ক্ষিপ্র বানে,
জল উঠলো বুক সমানে।
জলস্রোতেই সাঁতার কেটে,
বিশ্বাসীগণ ঘুরতে থাকে।


ঘুরতে থাকা পাগলের দল,
বুঝতে পারে জীবনের ছল,
অহম বলে কোন কিছু নেই,
সব পরিচয় বিলীন হবেই।


পাদটীকাঃ  মুসলমানদের পবিত্র আচার 'তাওয়াফ' সম্পর্কে ভাবতে ভাবতেই এই কবিতার জন্ম। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) কর্তৃক পবিত্র ক্বাবা শরীফ নির্মাণের পর থেকে বিশ্বাসীগণ এর চতুর্দিকে সপ্ত পরিক্রমায় বামাবর্তী (Anti clockwise) প্রদক্ষিণ করতে করতে আল্লাহ'র বন্দনায় মশগুল হয়ে যান। সেই থেকে শুরু হয়ে অদ্যাবধি সেই প্রদক্ষিণ পরিক্রমা চলছেই এবং পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত চলবেই। একবার এক আকস্মিক পাহাড়ী বন্যায় ক্বাবা'র চতুর্পার্শ্বে বুক সমান পানি জমে গেলে তাওয়াফকারীগণ সাঁতরে সাঁতরে তাওয়াফ অব্যাহত রাখেন, সম্প্রতি এরকম একটি তথ্য জানতে পেরে আমি অভিভূত হই। সেই গভীর অনুভূতি থেকেই এই কবিতাটি লেখা।


ঢাকা
২২ অক্টোবর ২০১৪
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।