যদি অনুমতি দাও,
তবে অন্ধকার কবরে একটা ল্যাপটপ নিয়ে যাবো।
ঠিক ল্যাপটপ না হলেও,
একটা চেস্টটপ ধরণের কোন কিছু হলেই হবে।
তাতে যুক্ত থাকবে একটা আঁধার চার্জার,
সোলার চার্জার এর মত কোন নতুন এক আবিষ্কার,
আঁধার দিয়ে যেটার চার্জ হবে ব্যাটারী ও এ্যাডাপ্টার।
তবে স্মার্ট ফোন বা ট্যাব জাতীয় কিছু নয়, অনর্থক।
এ ধরাধামে থেকেই ওগুলো রপ্ত করা শিখিনি,
আঁধারের গহ্বরে কোথায় পাবো ডিজিটাল শিক্ষক?


যদি পুনরোজ্জীবিত করো,
সওয়াল জবাব শেষে যদি খুশী হয়ে থাকো,
তবে  মিনতি করি সকাতরে,
একটুকু রিসেস দিও এই অধমেরে,
আঁধার জগতে থেকেও যেন দেখিবারে পাই,
ফেলে আসা পরিবার, বন্ধু ও চেনা নর নারী সবাই,
কাহারা কেমন আছে এই পৃথিবীর বুকে,
আমার বার্তা পেয়ে যেন তারা চমকিয়া উঠে।
আমার এ ভাবনা যদি তোমার অনুমোদন পায়,
ওয়াইফাই দিয়ে দিও সকল কবরে, অন্ধকারময়।


পাদটীকাঃ প্রার্থনার মূল সুর হচ্ছে জীবিত ও মৃতদের মাঝে, এবং মৃতদের পারস্পরিক মাঝে দোয়া বিনিময়ের সুযোগ। কবিতার বাদ বাকী অন্যান্য কথা মেইন গ্যাজেটের এক্সেসরীজ এর মতো।


ঢাকা
০৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
কপিরাইট সংরক্ষিিত।