সেদিন, মাঘের কোন এক পড়ন্ত বিকেলে,
আমরা ষোলজনা জড় হয়েছিলাম সকলে,
টিএসসি'র মোড়ের কাছে হাকিম চত্বরে,
ঘড়ি ধরে তিনটা থেকে, এক এক করে।


'বাংলা কবিতা'য় আমরা কবিতা লিখি,
এই পরিচয়ে শুধু একে অপরকে জানি,
দেখা সাক্ষাৎ মাত্র ক'জনারই বা হয়েছিলো,
তবু কিভাবে যেন সবাই চিনে ফেলেছিলো।


মহিলা কবিরা সবাই গড়হাজির ছিলেন,
ভাগ্যিস, শিমূল শুভ্রের এক ভাগিনী এলেন,
তারই তরে এ আসরটা যেন উৎরে গেলো,
'নারীবর্জিত', অপবাদটা থেকে বাঁচা গেলো।


অনুষ্ঠানটা ছিলো অনাড়ম্বর, ছিলোনা ভাষণ,
ছিলোনা কোন সভাপতি, বা নেতা নির্বাচন।
দু'চারটি চেয়ার ছাড়া কোন ছিলনা আসন,
দাঁঁড়িয়ে দাঁঁড়িয়ে সবাই তাই সারলো আলাপন।


এরই মাঝে চা এলো, গ্লাসে করে দেয়া হলো,
যে যার পছন্দমত নিজ হাতে তুলে নিলো,
কেউ কেউ দুধ-চা আর কেউ কেউ রঙিন,
একই সাথে গাল গপ্পোও চললো অন্তহীন।


সাঁঝের আগে আগে সবাই বইমেলায় গেলাম।
'শতরূপে ভালোবাসা' একবার হাতেও নিলাম।
তারপর ঠিক হলো, মোড়ক উন্মোচনের দিনে
সবাই একসাথে মিলে নিব এই বইটা কিনে।


সেদিন সবার শেষে এসেছিলো ওনীল ওসমান,
তাই দলছবির কোন কোণে হয়নি তার স্থান।
তারপরও সব কিছুতেই তার আগ্রহ খুব ছিলো,
তার এই কবিতানুরাগ খুব ভালো লেগেছিলো।


এভাবেই সাঙ্গ হয়েছিলো কবিদের এ মিলনমেলা,
এভাবেই গ্রথিত হয়েছিলো বিনিসূতোর এই মালা।
যে যার ঘরে ফিরে তাই, ভেবেছে সবাই অনুক্ষণ,
আত্মীয় কেবা আছে আর, এই কবিদের মতন?


পাদটীকাঃ  গত ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ তারিখে কবি কবীর হুমায়ুন এর আহ্বা্নে সাড়া দিয়ে 'বাংলা কবিতা'র কয়েকজন কবি 'হাকিম চত্বরে' সমবেত হয়েছিলেন। আমিও তাদের একজন ছিলাম। আমার চোখে দেখা কিছু সাদামাটা বর্ণনা এ কবিতায় দিলাম। কবিতাটি সেদিনের উপস্থিত সকল সুধীজনের প্রতি উৎসর্গিত।  


ঢাকা
০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
কপিরাইট সংরক্ষিত।