অনামিকা ততক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছিলো…  
মধ্যরাতে আবীর বিছানায় এসে দেখে,
অনামিকা ডান পাশ ফিরে কাৎ হয়ে শোয়া,
নাকের ডগায় তার চশমাটা শিথিলভাবে বসা।


অনামিকা সবসময় ডানপাশে কাৎ হয়ে শোয়,
আবীরের বাড়ানো বাহুটাতে মাথা রেখে শোয়।
তারপর দু’জনে মিলে পিলো টক করতে করতে
ওরা একত্রে ঘুমিয়ে পড়ে। হয়তো কখনো আবার
মাঝরাতে এপাশ ওপাশ করে মুখ ফিরে শোয়।
রাত জেগে খেলা দেখছিলো বলে আবীর আজ
বিছানায় দেরীতে এলো। এসে দেখে অনামিকা
ঘুমে, অপেক্ষায় থেকে থেকে সে ঘুমিয়ে পড়েছে।


শোয়ার আগে বুয়াকে আগামীকাল সকালের মেনু
বলে দেয়নি বলে অনামিকা নিজেরই উপর রাগ
করেছিলো, আর এই রাগ নিয়েই সে ঘুমিয়েছিলো।
তার স্মার্টফোনে তখনো ফেইসবুক খোলা ছিলো।


আবীরের শোয়ার শব্দে অনামিকার ঘুম ভেংগে যায়।
শয্যা ত্যাগ করে সে উঠে ঠান্ডা এক গ্লাস জল খায়।
তারপর ফ্রীজ থেকে কিছু কাঁচা তরকারী বের করে
রেখে আসে রসুইঘরে। যেন পরদিন ভোরে নাশতাটা
বুয়া টেবিলে রেডী করে রাখে। বিছানায় ফিরে এসে
অনামিকা দেখে আবীর ঘুমিয়ে, হাত দুটো ভাঁজ করে
বুকের উপরে রেখে। এবারে সে বাম কাৎ হয়ে শোয়।
তার নড়াচড়ায় আবীরের গভীর ঘুম মোটেও ভাঙ্গেনি।


ঢাকা  
০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।