শোন শোন ওগো নারী! শোন সত্যি কথা,
প্রতিবাদী হতে গিয়ে রেগো না অযথা।
হাসি-খুশি রহো যদি পুরুষের তরে,
প্রেমনদী বহে যাবে তাহার অন্তরে।
লাজ-ভয় পরিহারে রহিলে নির্ভয়,
স্নেহ-প্রেম, ভালোবাসা, অবহেলা নয়।
ভুল-ত্রুটি, অনিয়ম, যতেক সংস্কার,
জ্ঞান-আলো জ্বেলে আনো নিজ অধিকার।
নারীর বদনে যদি দেখে সুখ-হাসি,
পুরুষে প্রেমিক হয় আনন্দে উদ্ভাসী।
কথা-কর্মে, আচরণে করোহ প্রমাণ,
পৃথিবীর উন্নয়নে স্বীয় অবদান।
নর-নারী মিলে হলে সুখের সংসার,
সর্বস্থানে পাবে তবে সম-অধিকার।
পরম্পরা নর-নারী একে অপরের,
নর হলো মনোবল সব নারীদের।


নর-নারী দোঁহে মিলে সাজালে সংসার,
পৃথিবীতে নেমে আসে সুখ অমরার।
সুখের পাপিয়া নাচে আনন্দ উল্লাসে,
জগত-যন্ত্রণা ভুলে প্রাণ খুলে হাসে।
এক হয়ে নর-নারী জাগে যদি আজ,
ধরণীতে সৃষ্টি হবে সুষম সমাজ।
নারী হলো জগতের অপার মহিমা,
দয়ার সাগর, যেন নাহি পরিসীমা।
নর! তুমি সুখী হতে ভবের সংসারে,
শ্রদ্ধা করো নারীসবে ভালো ব্যবহারে।
নারী যদি রেগে গিয়ে গোস্বা করে, তবে,
জাহান্নাম নেমে আসে পুরুষের ভবে।


নারী লক্ষ্মী, নারী দেবী, নারী সোহাগিনী,
রেগে গেলে হয় তারা জ্বলন্ত নাগিনী।
তাই সবে তুষ্ট রাখো নারীর মনন,
পৃথিবীতে পাবে তুমি সুখ অগণন।
ভালোবাসা, প্রেম-প্রীতি পায় যদি নারী,
দুঃখ-কষ্ট ভুলে হয় সুখের সংসারী।
স্বর্গ-শান্তি নেমে আসে উভয়ের মনে,
একাকার হয়ে যায় প্রকাশ্যে, গোপনে।


কিছু দুষ্টু নারী আছে সমাজের মাঝে,
অসন্তুষ্ট রয় তারা সব ভালো কাজে।
কথায় কথায় তারা ঝগড়া-ফ্যাসাদে,
ইনিয়ে বিনিয়ে কতো ফৌঁস ফোঁস কাঁদে।
গাড়ি-বাড়ি, অর্থ-কড়ি অশেষ চাহিদা,
পায় যতো, চায় ততো মিটে না যে খিদা।
কথা-কর্মে আচরণে জ্বালাতন করে,
সর্বনাশা অশান্তিকে তুলে আনে ঘরে।
নিজের চাহিদা ছাড়া বোঝে নাতো কিছু,
কাঁঠালকে ভাবে তারা বড় এক লিচু।
এমন রমণী হতে থেকো দূরে সবে,
হাসি-খুশি রও সবে আনন্দ-উৎসবে।
পুরুষ ও নারী মিলে জগত সংসারে
আঁধার নাশিতে পারে, বলি সবাকারে।
ছোট-বড় কেহ নহে, সমানে সমান,
মনে রেখো, নর-নারী মানব সন্তান।


০৮/০৩/২০২৩
মিরপুর, ঢাকা।