জল জোছনা


জল থেকে শুষে শুষে নিই তোমার ছায়া
তুমি তো অকৃপণ তবু
উদার হাতে বিতরণ করছ ছায়া সুখ ছায়া প্রেম
তবে কেন অত ভয় আমার
আমার আছে একাকির চাঁদ
জোছনামাখার সাহস কই আমার
তবু আমি রোজ শিশির ভেজা ভোরে উঠি
ঠোঁটে ঠোঁটে মেখে নিই তোমার ছায়া
একে কি পাপ বলো তুমি কিংবা দোষ
হোক এই পাপ তোমার আমার প্রতিবেশি


ঈশ্বরের চুমু


কোনোদিন একটা মেয়ের কপালে চুমু খাইনি আমি
অথচ সে অবচেতনায় স্বর্গের সিঁড়ি ভাঙে লৌকিক পায়ে
ঈশ্বর টিশ্বর নিয়ে মাথা ঘামাই না আদৌ
ঠুঠো জগন্নাথ -হাত নাই যার কী আর করতে পারেন তিনি


তার চেয়ে বরং এসো কন্যা তোমাকে বুকে জড়িয়ে
দু গালে একটু আদর করি
ঈশ্বর যা পারেনি সেই ব্যর্থতা একটি চুমু তে ঢেকে
ঈশ্বরের থেকে বড় হয়ে যাই আমি


সেলুকাস যন্ত্রণা


আঁধারে ছিলাম, ভালো। আলো নামক নকল-নগ্ন আঁধারে এসে
আমিও আবেশিত হওয়ার প্রাক বেলায়
সর্তক করছি ভুলে যাও ভুলের বন্দনা
আমাকে লুকিয়ে রেখেছি সেই আঁধারী গহ্বরে
যেখানে আঁধারের আধার
আপাদমস্তক নির্বাক- সেলুকাস যন্ত্রণা
শিখালে শিখাও নতুন কোনো অর্বাচীন মগ্ন মন্ত্রণা


আঁধার বুঝি বলেই আত্মাকে জানি
কেউ কি জানে এ দেহের ভেতরের আঁধারী আল্পনা খানি


আমি সব জানি সব বুঝি
তবে কাউকে ন’ মানি
আমি আমাকেই মানি


স্ক্রিন শট


স্ক্রিনের পর স্ক্রিনে চলছে মেকি লাইকের খেলা
ফেইসবুকের মিথ্যে মিথ্যে যাপনবেলায় চলছে ছলাকলা


করোনা


পাশের চেয়ারে করোনা
সামনে অপেক্ষা করছে কঠোর যন্ত্রণা


তুমি


মনে হয় আমার মৃত্যর পর
তুমি হঠাৎ হয়ে যাবে গ্রহের সম্রাজ্ঞী
আর আমার অশরীরি আত্মা গ্রহময় ঘুরে বেড়াবে
তুমি তখন কতই না আনন্দ করবে তাই না
তোমার স্মৃতিতে আমার ধ্বংস
জানি, তারপরেও তুমি যে আমার ‘তুমিহীন’


আমি আমার মতোন
তবে তুমি তোমার মতো নও তুমি অন্য কারো মতোন


১৪ নভেম্বর ২০১৬, আজিমপুর, ঢাকা।